শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

বেশি লাভের আশায় ডলার কিনে মাথায় হাত

  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ মে, ২০২২

কিছুদিন দেশে ডলারের দর অস্থির হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার হঠাৎ করেই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর এই মুদ্রার দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে ১০৪ টাকায় উঠে যায়। বুধবার তা ১০০ টাকায় নেমে আসে। বৃহস্পতিবার তা আরও কমে ৯৬ টাকায় নেমে এসেছে।

যারা কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজার থেকে অতি মুনাফার আশায় ১০০ টাকার বেশি দরে ডলার কিনেছিলেন, এখন তাদের মাথায় হাত। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুঁটতে থাকা ডলার হোঁচট খেয়ে এখন উল্টো দিকে হাটছে।

ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডলারের দাম আরও কমবে তারা বলছেন, ‘যারা পাগলের মতো ডলার কিনেছিলেন তারা সবাই ধরা। সবাই এখন বিক্রি করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। সরবরাহ বেড়েছে; তাই দাম কমছে। আরও কমবে বলে মনে হচ্ছে।’

তবে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজার ও ব্যাংকগুলো বৃহস্পতিবার বুধবারের দরেই ডলার বিক্রি করেছে। আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে বুধবার ১ ডলারের জন্য ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। বৃহস্পতিবারও এই একই দামে বাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। সোমবার বড় দরপতন হয়। এক দিনেই আমেরিকান ডলারের বিপরীতে ৮০ পয়সা দর হারায় টাকা। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক দিনে টাকার এত বড় দরপতন হয়নি।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ৭০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছিল। ঈদের ছুটির আগে ২৭ এপ্রিল ডলারের বিপরীতে টাকার মান ২৫ পয়সা কমিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

তারও আগে প্রতি ডলারের জন্য ৮৬ টাকা ২০ পয়সা লাগত। এরপর ১০ এপ্রিল আরও ২৫ পয়সা কমিয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার এক লাফে ৮০ পয়সা কমিয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বেসরকারি ইস্টার্ন ও প্রাইম ব্যাংক বৃহস্পতিবার ৯৮ টাকা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে ১ ডলার কিনতে খরচ হয়েছে ৯৩ টাকা ৯০ পয়সা। অগ্রণী ব্যাংক ডলার বিক্রি করেছে ৯২ টাকা ৫০ পয়সায়। সোনালী ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে লেগেছে ৯২ টাকা ৪৫ পয়সা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই একই জায়গায় স্থির ছিল ডলারের দর। এর পর থেকেই শক্তিশালী হতে থাকে ডলার; দুর্বল হচ্ছে টাকা।

হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, এই ৯ মাসে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের দর বেড়েছে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।

মহামারি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় আমদানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বাড়ায় বাজারে ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা। আমদানির লাগাম টেনে ধরা ছাড়া ডলারের বাজার স্বাভাবিক হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তারা।

এদিকে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেও দামে লাগাম পরানো যাচ্ছে না। মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে ডলার বিক্রি করেই চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জুমবাংলা

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com