শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

বেলজিয়ামে বৈধভাবে বসবাসের উপায়

  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩

সম্প্রতি বেলজিয়ামে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের অনশন ধর্মঘটের পর থেকেই দেশটির অভিবাসন নীতি নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। বেলজিয়ামে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ ও সম্ভাবনাগুলো পাঠকেদের জন্য তুলে ধরা হলো।

অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাগজ বা বৈধতার জন্য ইউরোপে এরকম আন্দোলন সচরাচর দেখা যায় না। আন্দোলনকারীরা টানা অনশন ও আত্মহত্যার প্রচেষ্টা করলে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় দেশটিতে অভিবাসীদের অবৈধভাবে বসবাসের অসুবিধাও উঠে এসেছে। একজন অনিয়মিত অভিবাসী পূর্ণকালীণ চাকরি, পরিবারের সদস্যা এবং বছরের পর বছর বেলজিয়ামে থাকার পরও দেশটিতে বৈধতা পাওয়া সহজ নয়।

বেলজিয়ামে যেসব উপায়ে বৈধভাবে অস্থায়ী ও স্থায়ীভাবে থাকা সম্ভব যেসব উপায় ইনফোমাইগ্রেন্টসের পাঠকদের জন্য ব্যাখ্যা করা হলোঃ

আবাসনের অনুমতি বা রেসিডেন্স কার্ড

ইউরোপের যেকোন দেশে বৈধভাবে থাকার জন্য প্রথম যেটি প্রয়োজন তাহল আবাসনের অনুমতি বা রেসিডেন্স কার্ড, বেলজিয়ামও এর ব্যতিক্রম নয়। আপনি যদি ৯০ দিনের বেশি বেলজিয়ামে থাকতে চান তবে সেক্ষেত্রে আবাসনের অনুমতি বাধ্যতামূলক।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী আবাসনের অনুমতি একজন অভিবাসীকে নিজের দেশের বেলজিয়াম দূতাবাস অথবা কনস্যুলার থেকে নিতে হয়। সাধারণত ৯০ দিনের বেশি থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই ডি ক্যাটাগরি বা দীর্ঘমেয়াদী ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

ডি ক্যাটাগরি ভিসা নিয়ে বেলজিয়ামে পৌঁছানোর পর, আপনাকে অবশ্যই আট দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট পৌর প্রশাসন বা সিটি কাউন্সিলে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর শহর কর্তৃপক্ষ আপনি যেখানে থাকার কথা ঘোষণা দিবেন সেই জায়গায় একটি ” আবাস তদন্ত” পরিচালনা করে আপনাকে বিদেশিদের জন্য থাকা নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রারে নিবন্ধিত করবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনাকে একটি আবাসনের অনুমতি বা রেসিডেন্স কার্ড দেয়া হবে।

এটিকে সাধারণত ‘এ’ ক্যাটাগরির কার্ড বলা হয় যেটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেওয়া হয়। তবে আপনার ডি ক্যাটাগরির ভিসা কি হিসেবে পেয়েছেন সেটির উপর কার্ডের সময়সীমা নির্ভর করবে। যেমন, ছাত্র হিসেবে, দক্ষ চাকুরিজীবি, পরিবার ভিসা ইত্যাদি।

কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ থেকে ৪৫ দিন আগে পুনর্নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। প্রথম অনুরোধের মতোই আপনি যেখানে থাকবেন সেখানকার পৌর প্রশাসনের কাছে অবশ্যই উপস্থাপন করতে হবে। আবেদনটি পরীক্ষা এবং সিদ্ধান্তের জন্য অভিবাসন দপ্তরের দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা শাখায় প্রেরণ করা হযবে।

বেলজিয়াম সরকারের বলা হয়েছে, “প্রথমবার যারা রেসিডেন্স কার্ড নবায়নের জন্য আবেদন করবেন, তাদের আবেদনের সময় অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে, তারা বেলজিয়ামের সমাজে সুসংহত বা ইন্টিগ্রেট হওয়ার চেষ্টা করছেন।”

আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে ও ভালোভাবে জমা করতে, আপনি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত একটি ইন্টিগ্রেশন কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি কোন স্থায়ী চাকরি অথবা উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেন, বেলজিয়ামে ব্যবহৃত বিভিন্ন ভাষা জানতে এবং বলতে পারেন অথবা এমনকি আপনি কোন কারিগরি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন সেটিও ইন্টিগ্রেশনের উদাহরণ হিসেবে দেখাতে পারবেন।

নবায়নের আবেদন গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হলে, বেলজিয়াম প্রশাসন আপনার এ ক্যাটাগরির কার্ড এর পরিবর্তে একটি বি ক্যাটাগরির কার্ড প্রদান করতে পারে। বি ক্যাটাগরির কার্ডের আওতায় একজন অভিবাসী স্থায়ীভাবে বেলজিয়ামে থাকতে পারে। তবে এই কার্ড প্রাপ্তির প্রথম ৪ বছর বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ একজন ব্যক্তি কতটুকু “বেলজিয়ামের সমাজে সুসংহত বা ইন্টিগ্রেট হওয়ার চেষ্টা করছেন” সেট পর্যবেক্ষণ করবে।

বেলজিয়ামে এসে দীর্ঘমেয়াদি আবাসনের আবেদন

সাধারণত ডি ক্যাটাগরির ভিসার আবেদনকারী ব্যক্তি নিজ দেশের বা পাশ্ববর্তী দেশে থাকা দূতাবাসের উপর নির্ভর করলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেলজিয়াম থেকেও এই আবেদন জমা দেয়া সম্ভব।

তবে এটি শুধুমাত্র ব্যতিক্রমি পরিস্থিতি’র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন আপনার নিজের দেশ বা পাশ্ববর্তী দেশ থেকে দীর্ঘমেয়াদি ভিসার আবেদন করা অসম্ভব, সেক্ষেত্রে আপনি বেলজিয়াম থেকে করা সম্ভব হতে পারে। তবে বেলজিয়াম সরকারের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ” ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে আবেদনগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত ঐ ব্যক্তি রেসিডেন্স কার্ড বা বৈধতার জন্য বিবেচ্য কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হয়। এক্ষেত্রে সরাসরি ক্যাটাগরি বি কার্ড বা দীর্ঘমেয়াদি আবাসনের অনুমতি দেয়া হয় না।

ব্যতিক্রমি পরিস্থিতি প্রমাণের জন্য একজন ব্যক্তি তার বসবাসের ঠিকানার নিকটবর্তী সিটি কাউন্সিল বা প্রশাসনের কাছে আবেদন করলে সেটি তারা ১০ দিনের মধ্যে যাচাই বাছাই করবে। এরপরে সেটি সঠিক মনে হলে সিটি কাউন্সিল আপনার আবাসনের অনুমতি আবেদন পরীক্ষা ও সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের ইমিগ্রেশন দপ্তরে পাঠাবে।

অসুস্থতার কারণে আবেদন

ইউরোপের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বেলজিয়ামেও একজন অনিয়মিত বা নিয়মিত অভিবাসর “চিকিৎসাজনিত কারণে” বেলজিয়াম থেকে আবাসনের আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব। যদি আপনি এমন কোনও অসুস্থতায় ভোগেন যা্র কারণে আপনার জীবন বা শারীরিক সুস্থতা অত্যন্ত ঝুঁকির মুখে রয়েছে এবং আপনার দেশে এই রোগের পর্যাপ্ত চিকিত্সা নেই তবে সেক্ষেত্রে চিকিৎসাজনিত কারণে বেলজিয়ামে বৈধতা বা বসবাসের অনুমতির আবেদন করতে পারবেন।

তবে এই আবেদনটি আপনাকে সরাসরি একটি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ইমিগ্রেশন দপ্তর পাঠাতে হবে। আপনার আবেদনের সত্যতা নির্ভর করবে আপনার অতীত অভিবাসন নথি, রোগের তীব্রতা বা দুরারোগ্য, ইউরোপের ডাক্তার এবং হাসপাতালের রিপোর্টের উপর।

এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত মানবপাচারকারীরা এই ক্যাটাগরিতে কাগজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে অনেক অভিবাসীকে ঝুঁকিতে ফেলে সর্বস্ব নিয়ে নেয়। প্রকৃত ঘটনা ইমিগ্রেশন কঠোর নিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে থাকে।

কাজের মাধ্যমে বৈধতা

বেলজিয়ামে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য, সেখানে একটি বৈধ কাজ করা হতে পারে সহজ সমাধান। বৈধ কাজের অর্থ হচ্ছে ওয়ার্ক পারমিটের মাধ্যমে একজন মালিক আপনাকে একটি কাজের কন্ট্রাক্ট দেবে, প্রতি মাসে আপনার বেতনের রশিদ এবং সরকারকে সকল ধরনের কর ও সামাজিক সুবিধা সংক্রান্ত ব্যয় পরিশোধ করবে। বেলজিয়ামে কাজের অনুমতির আবেদনটি আঞ্চলিক প্রশাসনের কাছে করা হয়। আবেদন একবার স্বীকৃত হয়ে গেলে ইমিগ্রেশন বিভাগ একটি অনুমতি পত্র জারি করে যেখানে কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা দেয়া থাকে না। এই কাজের অনুমতিপত্রটিকে অনেকে আবাসনের অনুমতির সমতুল্য বলে থাকেন।

ব্রাসেলস এবং এর পাশ্ববর্তী অঞ্চলে, কাজের অনুমতি আবেদন ফর্মটি তারিখ ও স্বাক্ষর সহ সরাসরি নিয়োগকর্তাকে পূরণ করতে হয় । কিন্তু ওয়ালোনিয়া অঞ্চলে, আবেদনকারীকে নিজে তার পরিচয় সম্পর্কিত ও কাজের বিবরণ সহ সমস্ত পূরণ করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্রাসেলসের মতো জাতীয় ইমিগ্রেশন দপ্তর এই অনুমোদনটি না দিয়ে ওয়ালোনিয়া পাবলিক সার্ভিস দ্বারা সরবরাহ করা হবে।

আইনগতভাবে, একজন ব্যক্তিকে তার নিজ দেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হয়। তবে আপনি যদি বেলজিয়ামে বিশেষ ক্যাটাগরি যেমন, কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা নিজের দেশের বাইরে তৃতীয় অন্য দেশে থাকার কারণে ৯০ দিনের অনুমতিপত্র নিয়ে এসে থাকেন সেক্ষেত্রে বেলজিয়ামে এসে আপনি স্থানীয় সিটি কাউন্সিল থেকে আপনার অনুমতিপত্র নিতে পারবেন।

আপনি বেলজিয়ামে থেকেও বিশেষক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিটের জন্যও আবেদন করতে পারবেন। যেমন, যদি আপনি ইতিপূর্বে বৈধভাবে বেলজিয়ামে বাস করে থাকেন অথবা দেশের কোন অঞ্চলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট থাকে সেক্ষেত্রে নিজ দেশের দূতাবাসে না গিয়ে আপনি আবার বেলজিয়াম থেকে আবেদন জমা করতে পারবেন।

পারিবারিক পুনর্মিলনী ভিসা

এই ভিসার আবেদন বেলজিয়াম থেকে করা যেতে পারে। ভিসা বা আবাসনের আবেদন পরীক্ষা করার সময়কাল আবেদনকারীর জাতীয়তা এবং তিনি বেলজিয়ামে কোন ক্যাটাগরির কার্ড নিয়ে আছেন সেটির দ্বারা নির্ধারিত হয়। যেমন, কেউ যদি বেলজিয়ামে নাগরিকত্ব অথবা দীর্ঘমেয়াদি কার্ড নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম সময় লাগে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পারিবারিক ভিসার সিদ্ধান্তটি ইমিগ্রেশন বা ওই নিয়ে থাকে। আবেদনের বিপরীতে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যরা ভিসা অথবা রেসিডেন্স কার্ড পেয়ে থাকেন। কিছু কিছু দেশের বেলজিয়াম দূতাবাস একসাথে দু’টি প্রদান করে থাকে।

আবেদনটি নাকচ করা হলে, আবেদনকারী চাইলে লিটিগেশন কাউন্সিলের কাছে আবেদন করতে পারবেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার জন্য ওই’র কাছে আবেদন করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কোন আবেদনকারীকে যদি বলা হয়ে থাকে তিনি তার পারিবারিক সম্পর্কের যথেষ্ট প্রমাণ দিতে পারেননি। সেক্ষেত্রে পিতামাতা বা অন্যান্য পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণ করতে ডিএনএ পরীক্ষার দলিল সহ তার নতুন আবেদন জমা দেওয়া সম্ভব।

বর্তমান অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বেলজিয়ামে বসবাসরত কোন ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে বেলজিয়ামে থাকার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

রাজনৈতিক আশ্রয়

বৈধভাবে বেলজিয়ামে বসবাস করতে, রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে শরণার্থীর মর্যাদার মাধ্যমে বৈধতা পেতে পারেন। তবে অবশ্যই এটি জেনেভা কনভেনশনের প্রথম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্ধারিত কারণে আশ্রয় আবেদন হতে হবে।

এটি করার জন্য, আপনাকে বেলজিয়ামে বা বেলজিয়াম সীমান্তে পৌঁছানোর আট দিনের মধ্যে ওই বা ইমিগ্রেশন দপ্তর বরাবর আবেদন করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই আপনার পরিচয়, আপনার দেশ এবং বেলজিয়ামে কীভাবে এসেছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে হবে।

আপনি যদি দেশটির প্রচলিত ভাষা না জানেন সেক্ষেত্রে আপনি একজন দোভাষীর সহায়তা নিতে পারবেন। এই পদক্ষেপের সময় আপনি কেন আশ্রয়ের জন্য আবেদন করছেন তাও আপনাকে ব্যাখ্যা করতে হবে। তারপর আপনার ফাইলটি শরণার্থী ও রাষ্ট্রবিহীন ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত কমিশনে (সিজিআরএ) প্রেরণ করা হবে। সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “যদি আশ্রয়প্রার্থী জেনেভা কনভেনশন কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ডগুলো পূরণ করে তবে তিনি একজন শরণার্থী হিসাবে স্বীকৃতি পাবেন। আশ্রয়প্রার্থী শরণার্থী স্বীকৃতি পেতে ব্যর্থ হলে কিন্তু তার দেশে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকি থাকলে তাকে অস্থায়ী সুরক্ষা বা সাবসিডিয়ারি প্রটেকশন দেওয়া হবে।

অন্যদিকে, শরণার্থী মর্যাদা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের তুলনায় অস্থায়ী সুরক্ষা বা সাবসিডিয়ারি প্রটেকশন মর্যাদা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা কম। বেলজিয়ামের আশ্রয় কর্তৃপক্ষ (সিজিআরএ এবং সিসিই) শরণার্থী মর্যাদার স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার এবং শরণার্থীর সংজ্ঞা সম্পর্কে মোটামুটি বিস্তৃত ব্যাখ্যার প্রয়োগ করার সুযোগ পায়। কিন্তু অস্থায়ী সুরক্ষা বা সাবসিডিয়ারি প্রটেকশন দেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের চলমান পরিস্থিতি ও আইনগত তথ্য ঘাটতির থাকে। যেকারণে বেলজিয়াম শরণার্থী মর্যাদার অনুমোদনকে সহজতর মনে করে থাকে।

সিজিআরএ কোন আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে ৩০ দিনের মধ্যে তৃতীয় প্রশাসনিক আদালত বা সিসিএ তে আপিল আবেদন করা সম্ভব।

সিসিই চাইলে সিজিআরএ’র দেয়া সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করতে পারে এবং পুনর্বিবেচনার জন্য আপনার অনুরোধটি তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারে। সিজিআরএ এবং সিসিই উভয়ে প্রত্যাখ্যান করলে, আপনি সিদ্ধান্তের ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্টের সর্বোচ্চ আইনি কাঠামো স্টেট কাউন্সিলের কাছে আবেদন করতে পারবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com