যাঁরা থাইল্যান্ডের ফ্লোটিং মার্কেট নিয়ে আগ্রহ দেখান, যাঁরা কেরালার ব্যাকওয়াটারের ছবি দেখে হা-পিত্যেশ করেন, তাঁরা দেখে আসুন বরিশাল আর পিরোজপুরের জলের এক স্বর্গরাজ্য। বলছিলাম বরিশাল-পিরোজপুরের-ঝালকাঠির নদী আর গ্রামের ভেতর বয়ে
রাজধানী এখন ফাঁকা। চাইলেই অল্প সময়ে গন্তব্যে যাওয়া যাচ্ছে। তাই এখন যারা রাজধানীতে অবস্থান করছেন এবং ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে বের হলে
জঙ্গল থেকে দিগন্ত বিস্তৃত ক্ষেতখামার, নদীনালা, খাল-বিল, হাওর পাহাড়, পর্বত সমুদ্র সব কিছুর মধ্যে খুজে পাবেন বাংলাদেশ। পুরোনো ঐতিহ্যের মধ্যে খুজে পাবেন ঢাকেশ^রী মন্দির, লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, পানামা সিটি।দৃষ্টিনন্দন,
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর—কবি জীবনানন্দ দাশের এ কবিতা বাংলাদেশের রূপ-বৈচিত্র্য আর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি বিশ্বের ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের প্রবলভাবে আকর্ষণ করেছে নিঃসন্দেহে।
নদী, পাহাড়, সমুদ্র আমাকে সবসময়ই রোমাঞ্চকর- নতুন প্রেমিকার মতো। ভ্রমণ একটা ওষুধ, যা মনকে সুস্থ রাখে। যখনই সুযোগ পাওয়া যায় ঘুরে বেড়ানোর তখনই নদী, পাহাড় ও সমুদ্রে চলে যাওয়ায় হয়।
বাংলাদেশের মানুষ এখন ভ্রমণপ্রিয়। ভ্রমণে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা কক্সবাজার। কিন্তু কক্সবাজার জেলার সর্বশেষ অংশ টেকনাফ যে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও ডালি সাজিয়ে বসে আছে সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেই অবগত নন।
ছুটির দিনে অথবা কর্মব্যস্ততার ফাঁকে একটু ঘুরতে যেতে পারেন ঢাকার কাছেই পদ্মা নদীতে মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট। ঢাকার কাছে নবাবগঞ্জের দোহারের পদ্মার পাড়ের এই এলাকা এরই মধ্যে বেড়ানোর জায়গা
তুলার মতো মেঘমালা, চারদিকে সারি সারি সবুজ পাহাড়। সবুজের রাজ্যে এ যেন সাদা মেঘের হ্রদ! নিশ্চয়ই ভাবছেন স্বপ্নের মত সুন্দর এরকম দৃশ্য বাস্তবে দেখা যাবে কি? আর দেখা গেলেও হয়ত
নগরজীবনের ব্যস্ততার মাঝে মন চায় একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতে। তাই তো আপনার একঘেয়েমি ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করতে আপনি ঘুরে আসতে পারেন বরিশাল বিভাগের ব্যতিক্রমী চার সমুদ্র সৈকত থেকে ।
কক্সবাজারসমুদ্র সৈকতের বিস্তীর্ণ বেলাভূমি সারিসারি ঝাউবন সৈকতে আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউ, সকাল বেলা দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি ভেদ করে লাল সূর্যোদয়ের দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। দিগন্তের চারিদিকে আরো বেশি স্বপ্নিল রং