বিশ্বের সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে স্থান পেয়েছে ভারতের তিনটি বিমানবন্দর। বিমানবন্দরগুলো মধ্যে রয়েছে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেঙ্গালুরুর কেম্পগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
২০২৩ সালে সময় মেনে পরিষেবা প্রদানের (অবতরণ ও উড়ানের নির্দিষ্ট সময়ের ১৫ মিনিটের মধ্যে) ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে বিমান পরিবহনের তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থা সিরিয়াম।
সিরিয়ামের তথ্যানুযায়ী, ‘লার্জ’ বা যাত্রী পরিবহনের দিক দিয়ে বৃহৎ বিমানবন্দরগুলোর তালিকার প্রথম দশে দুটি ভারতীয় এয়ারপোর্ট রয়েছে। দুই নম্বরে আছে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তিন নম্বরে ঠাঁই পেয়েছে বেঙ্গালুরুর কেম্পগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আর শীর্ষে আছে আমেরিকার মিনেপলিসের সেন্ট পল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে মোট সেবা দেওয়া বিমানের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪২৬টি। সেগুলোর মধ্যে ৮৪.৪২ শতাংশ বিমান নির্ধারিত সময় যাতায়াত করেছে। শীর্ষে থাকা সেন্ট পল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেটি ৮৪.৪৪ শতাংশ ছিল।
দ্বিতীয় হলেও ২০২২ সালের চেয়ে ‘রেজাল্ট’ খারাপ হয়েছে হায়দরাবাদের। সময়মতো পরিষেবার থেকে হায়দরাবাদের ‘রেজাল্ট’ এক শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময়ে যাতায়াত করেছে ৮৪.০৮ শতাংশ বিমান।
আর ‘মিডিয়াম’ ক্যাটেগরিতে (যাত্রী সংখ্যার নিরিখে মাঝারি ক্যাটেগরিতে পড়ে) নবম স্থানে আছে কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
তবে, সময় মেনে পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে কোনো ভারতীয় বিমান সংস্থা দাগ কাটতে পারেনি। সার্বিকভাবে প্রথমে দশে নেই কোনো ভারতীয় বিমান সংস্থা। সস্তার বিমান সংস্থার তালিকায় আট নম্বরে আছে ইন্ডিগো। ওই বিমান সংস্থার ৮২.১২ শতাংশ বিমান সময় মেনে যাতায়াত করেছে।
সাধারণত সময়ের নিরিখে বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরগুলোর তালিকার শীর্ষে থাকে জাপানের এয়ারপোর্টগুলো। ওই সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, ‘সময় মেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সাধারণত জাপানের বিমানবন্দরগুলো শীর্ষে থাকে। কিন্তু ২০২৩ সালে সেই জায়গাটা হারিয়েছে বা বড়সড় পতন হয়েছে।’