বিদেশেই বসতি স্থাপনের স্বপ্ন দেখেন সকলেই, যদিও এর জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রচুর পরিমাণে অর্থ থাকাও দরকার। তবে, এখনও এমন অনেক সাশ্রয়ী মূল্যের দেশ রয়েছে, যেখানে জীবনযাত্রা সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা।
সেই তালিকায় প্রথমেই আসে ভিয়েতনাম। ভিয়েতনাম হল বিশ্বের সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের দেশ। ইন্টারনেশনস সমীক্ষা অনুসারে, টানা চার বছর ধরে এই দেশটি বিশ্বের ৫৩ গন্তব্যের মধ্যে, সবচেয়ে সাশ্রয়ী জীবনযাত্রার জন্য প্রথমেই রয়েছে। এশীয় দেশগুলি এই বছরের সস্তা দেশের তালিকায় শীর্ষ ১০টির মধ্যে ছয়টি স্থান দখল করে নিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ড শীর্ষ ১০-এই জায়গা করে নিয়েছে।
জীবনযাত্রার মান, ডিজিটাল জীবন, আবাসন ও ভাষা, ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা, বেতন এবং চাকরির নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে এই র্যাঙ্কিং করা হয়েছে। সমীক্ষায়, বিশ্বব্যাপী ১৭৪ অঞ্চল জুড়ে ১২,০০০ জনেরও বেশি প্রবাসী অংশ নিয়েছেন।
১) ভিয়েতনাম – এক নম্বরেই ভিয়েতনাম, এই দেশে শুধু ‘কস্ট অফ লিভিং’ই নয় কাজের সংস্কৃতিও খুব ভালো। ভালো বেতনের সুযোগ রয়েছে।
২) কলম্বিয়া – কলম্বিয়া দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, এই দেশটি সর্বদা অভিবাসীদের আকর্ষণ করে। এখানে বসবাস ও কাজ করা সাশ্রয়ী।
৩) ইন্দোনেশিয়া – তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, কাজের সংস্কৃতি এবং সম্পত্তি অন্যান্য দেশের তুলনায়, এই দেশ সস্তা এবং ভালো।
৪) পানামা – বিশ্বের চতুর্থ সস্তা এই দেশ, অনেক হলিউড মুভিতে স্থান পেয়েছে এবং এটি দেখতে সুন্দর, এবং বেশ সস্তা।
৫) ফিলিপাইন – পঞ্চম সস্তা দেশ হল ফিলিপাইন। প্রচুর অভিবাসীকে আকর্ষণ করে এই দেশ। মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতেও ফিলিপাইনের ছবি দেখতে পছন্দ করে।
৬) ভারত – ভারত বিশ্বের ষষ্ঠ সস্তা দেশ। জীবনযাত্রা, আবাসন এবং ভাষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডের ক্ষেত্রে ভারতও অন্যতম।
৭) মেক্সিকো – সবচেয়ে সস্তা দেশ মেক্সিকো ৭ নম্বরে। এখানে থাকা, খাওয়া এবং কাজ করা যে কোনও বহিরাগতের জন্য সস্তা।
৮) থাইল্যান্ড – থাইল্যান্ড রয়েছে ৮ নম্বরে। এখানকার জীবনযাত্রা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা। ভারতীয়রাও থাইল্যান্ডকে অনেক পছন্দ করে।
৯) ব্রাজিল – বিশ্বের নবম সস্তা দেশ হল ব্রাজিল। জীবনধারা, সম্পত্তি এবং ডিজিটাল জীবনের দিক থেকে এটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের দেশ।
১০) চিন – ২০২৪ সালের ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ৫৩টি অর্থনৈতিক দেশ রয়েছে, যার মধ্যে ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিন ১০ নম্বরে রয়েছে।
রিপোর্ট অনুসারে, সাধারণত, ভিয়েতনামে কাজের-জীবনের ভারসাম্য, ক্যারিয়ারের অগ্রগতিতে অবদান রাখে। এবং দেশের প্রবাসী জনসংখ্যার অর্ধেকেরও কম, প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ ফুল টাইম কাজ করেন, যা বিশ্বব্যাপী গড়ে ৫৭ শতাংশের তুলনায় অনেক কম। এ প্রসঙ্গে একজন ব্রিটিশ প্রবাসী রিপোর্ট অনুসারে বলেছেন, এখানকার জীবনযাত্রা আমার জন্য চাপমুক্ত। এটি আমার আগের ব্যস্ত ও কষ্টদায়ক কর্মজীবনে একটি বিস্ময়কর এবং দুর্দান্ত পরিবর্তন, নিশ্চিত করেছে।