বিশ্বে এমন কিছু বিমান বন্দর রয়েছে যেগুলোকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বন্দরে বিমান অবতরণের সময় প্রত্যেক বিমানচালকের, প্রতিবারই বুক ধড়ফড় করে ওঠে। তেমনিভাবে উড্ডয়নের সময়ও বৈমানিককে দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়।
যদিও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর মানেই যেন এক অভিজাত এবং বিলাসবহুল স্থান। ঝাঁ চকচকে পরিবেশ, মোলায়েম মেঝে, উঁচু উঁচু ঝলমলে সাজের ছাদ, আলো, দোকান, সুন্দর পোশাক পরা লোকজন, সুস্বাদু খাবারের গন্ধ সব মিলিয়ে একটা বেশ জমকালো ব্যাপার।
বিমান বন্দরের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে বিমান পর্যন্ত সবই যেন ছবির মতো সুন্দর এবং সাজানো। যাত্রীরা বিশালাকার এই জায়াগাটিতে বিমানের জন্য অপেক্ষা করেন, মনের আনন্দে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু জানেন কি যে, বিশ্বের এমন কিছু বিমান বন্দর রয়েছে যেগুলোকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে?
এই বন্দরে বিমান অবতরণের সময় প্রত্যেক বিমান চালকের প্রতিবারই বুক ধড়ফড় করে ওঠে। সেই জন্য অতি অভিজ্ঞ এবং নির্দিষ্ট কয়েক জন পাইলট ছাড়া এই সব বিমান বন্দরে বিমান অবতরণের দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয় না। এরা সকলেই বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। নবাগত পাইলটদের ভুলেও এই স্থানে বিমান অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয় না।
বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দর
বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দর নেপালে। দেশটির তেনজিং-হিলারি বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমান বন্দরগুলির মধ্যে একটি। এই বিমান বন্দরটি হিমালয়ের পার্বত্য শিখরের মাঝে থাকা লুকলা শহরে অবস্থিত।
এই বিমান বন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৪৬০ মিটার, আর এখানে শুধুমাত্র ছোটো বিমান এবং হেলিকপ্টার অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়। এর রানওয়ের উত্তরে পাহাড় এবং দক্ষিণে একটি ৬০০ মিটার গভীর খাদ রয়েছে। এই কারণেই এই বিমানবন্দরটিকে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক বিমানবন্দর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।