মহান আল্লাহর মনোনিত ধর্ম ইসলাম। যারা ইসলাম গ্রহণ করে তাদেরই বলা হয় মুসলিম। বর্তমান বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। আজকের এই লেখায় আমরা জানবো, বিশ্বের যে ৫ দেশে সবচেয়ে কম মুসলিম জনসংখ্যা বাস করে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ হলো প্রশান্ত মহাসাগরের একাধিক দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এখানকার মুসলিম জনসংখ্যা অতি সামান্য, প্রায় ০.০১% এর কম। দ্বীপটির বেশিরভাগ অধিবাসী খ্রিষ্টান, এবং ইসলামের প্রভাব প্রায় নেই বললেই চলে।
দ্বিতীয় শতক থেকেই দ্বীপটিতে মানুষের বসবাসের নিদর্শন পাওয়া যায়। ১৯৭৯ সালে এখানকার স্বাধীন সরকার গঠিত হয়। যদিও ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে, তবে ইসলাম এখানে ব্যাপকভাবে প্রচার পায়নি।
টুভালু
টুভালু একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র, যা প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত। এখানকার মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। ১৯৮৫ সালে এখানে প্রথম মুসলিম সম্প্রদায় গঠিত হয়, তবে বর্তমানে জনসংখ্যার মাত্র ০.৪৬% মানুষ ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করেন। দ্বীপটির একমাত্র মসজিদ ফুনাফুতিতে অবস্থিত। এখানকার খ্রিষ্টধর্ম প্রভাবশালী হওয়ায় ইসলামের উপস্থিতি এখানে খুবই সীমিত।
নাউরু
নাউরু বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর একটি, যার জনসংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। এখানেও মুসলিম জনসংখ্যা খুবই কম, প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। দ্বীপটির অধিবাসীদের বেশিরভাগ খ্রিষ্টান। পিউ রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, দ্বীপটিতে মুসলিম জনসংখ্যা মাত্র ০.১%। এই ক্ষুদ্র জনসংখ্যার বেশিরভাগই আঞ্চলিক প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে থাকা বন্দিরা।
ভানুয়াতু
ভানুয়াতু দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের আরেকটি দ্বীপ রাষ্ট্র, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা খুবই কম, আনুমানিক ০.১% এর নিচে। এখানে ইসলামের প্রথম প্রবর্তন হয় ১৯৭৮ সালে, যখন স্থানীয় একজন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেন। বর্তমানে, দেশটির মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১,০০০ এর কাছাকাছি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ইসলাম সম্প্রদায়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে এখনও খ্রিস্টধর্মই এখানে প্রধান ধর্ম।
কিরিবাতি
কিরিবাতি হলো আরেকটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। দেশের ৯৬% মানুষ খ্রিষ্টধর্ম অনুসরণ করেন। ইসলামের প্রভাব এখানে অত্যন্ত সীমিত, যা প্রধানত ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা ও ধর্মীয় প্রভাবের কারণে ঘটেছে।
এসব দেশের মুসলিম জনসংখ্যা কম থাকার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা, খ্রিস্টধর্মের দীর্ঘকালের প্রভাব এবং ইসলাম সম্পর্কে সীমিত প্রচার। যদিও এগুলোতে মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যা খুবই কম, তবুও ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার বিদ্যমান থাকায় এ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর অস্তিত্ব ও ধর্ম চর্চা অব্যাহত রয়েছে।
Like this:
Like Loading...