শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের বৃহত্তম ভাসমান ও চলমান শহর হতে যাচ্ছে প্যানজিওস

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩

আজ থেকে কয়েক কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে বিরাজ করতো প্যানজিয়া নামে এক বিরাট মহাদেশ। সেই মহাদেশ বিলীন হয়ে যাওয়ার ২০ থেকে ৩৩ কোটি বছর পর সেই নামেই একটি ভাসমান ও চলমান শহর তৈরি হতে যাচ্ছে সৌদি আরবে।

বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভাসমান কাঠামো কোনটি? এর উত্তর না জানা থাকলেও সৌদি আরবের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়ে গেলে প্যানজিওসই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান কাঠামো। প্যানজিওসের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০০ কোটি ডলার। নকশা করেছে প্রখ্যাতা নকশাকারী ফার্ম ল্যাজারিনি।

ল্যাজারিনির নকশায় তৈরি হতে যাওয়া এই অতিকায় ইয়টটির দৈর্ঘ্য হবে ৫৫০ মিটার বা ১৮০০ ফুট এবং প্রস্থ হবে ৬১০ মিটার বা ২০০০ ফুট। অতিকায় এই ইয়টটির আকৃতি হবে অনেকটা কচ্ছপের মতো।

ল্যাজারিনি জানিয়েছে, অতিকায় এই ইয়টটিতে থাকবে বিভিন্ন ধরনের হোটেল, আবাসিক ভবন, বাংলো, শপিং মল এবং পার্কসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা। এ ছাড়া ছোট ছোট বিভিন্ন জাহাজ ভেড়ানোর জন্য থাকবে ছোট আকারের বন্দর সুবিধাও। থাকবে বিমান এবং হেলিকপ্টার অবতরণের সুবিধাও।

ল্যাজারিনি জানিয়েছে, অতিকায় কচ্ছপ আকৃতির এই ইয়টটি তৈরির জন্য এটি একটি বিশেষ জায়গার প্রয়োজন হবে যা বর্তমানে বিদ্যমান নেই। তারা ইয়টটির সম্ভাব্য নির্মাণস্থল হিসেবে সৌদি আরবকে বেছে নিয়েছেন।

ল্যাজারিনি আরও জানিয়েছে, অতিকায় ইয়টটি নির্মাণের প্রায় এক বর্গকিলোমিটার সমুদ্র ড্রেজিং করতে হবে এবং নির্মাণ শুরু করার আগে সেখানে একটি বৃত্তাকার বাঁধ তৈরি করতে হবে। প্রাথমিকভাবে ল্যাজারিনি সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ বন্দরের একটি জায়গাকে নির্ধারণ করেছেন। যা জেদ্দা থেকে ৮১ মাইল উত্তরে অবস্থিত।

প্যানজিওস নামে এই ভাসমান ও চলমান শহরটি বিভিন্ন ব্লকে বিভক্ত থাকবে। নকশাকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, শহরটির কাঠামোর নিচের দিকে সবমিলিয়ে বিভিন্ন আকৃতির ৩০ হাজার সেল থাকবে। যা শহরটিকে ভাসমান রাখতে সহায়তা করবে। এর ড্রাফট অর্থাৎ যে অংশটুকু পানির নিচে থাকবে তার উচ্চতা হবে ৩০ মিটার বা ৯৮ ফুট। এ ছাড়া এই শহরটি সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৫ নট বা ৯.২৮ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে।

পুরো শহরটির জ্বালানি বা বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাবে এর দুটি ডানা। এই ডানাগুলো সমুদ্রের ঢেউ থেকে শক্তি সংগ্রহ করে ইয়টটির ইঞ্জিনকে চলতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া অতিকায় এই ইয়টটির ছাদে থাকবে সোলার প্যানেল যা পুরো শহরের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে।

ল্যাজারিনি আশা প্রকাশ করেছে, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের মধ্যেই ইয়টটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এই ইয়টটি নির্মাণে সময় লাগবে আট বছর। তবে ইয়টটির নির্মাণে কারা অর্থ বিনিয়োগ করবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি ল্যাজারিনি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com