ইউরোপের বুক চিড়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডন পর্যন্ত বিশ্বের দীর্ঘতম বাস যাত্রা চালু করতে যাচ্ছে ভারতীয় একটি বাস কোম্পানি। বিশ্বের দীর্ঘতম এই সড়কপথের যাত্রায় এক বাসে চেপে ইস্তাম্বুল থেকে লন্ডন পৌঁছাতে সময় লাগবে ৫৬ দিন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ভারতীয় ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেল সংস্থা অ্যাডভেঞ্চার ওভারল্যান্ড চালু করতে যাচ্ছে এই বাস যাত্রীসেবা। এটাকে বিশ্বের দীর্ঘতম বাস যাত্রা হিসাবে অভিহিত করা যেতে পারে।
ইস্তাম্বুল থেকে যাত্রা শুরুর পর লন্ডনে পৌঁছানোর মাঝে বিশ্বের ২২টি দেশের ভেতর দিয়ে যাবে অ্যাডভেঞ্চার ওভারল্যান্ডের বাস। আগামী আগস্ট মাসে এই পথে বাসের যাত্রীসেবা শুরুর কথা রয়েছে। প্রথম যাত্রায় বাসটিতে ৩০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন।
তুরস্কের বৃহত্তম শহর থেকে যাত্রা শুরু পর বাসটির বলকান, পূর্ব ইউরোপ, স্ক্যান্ডিনেভিয়া ও পশ্চিম ইউরোপ হয়ে লন্ডনে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৫৬ দিন।
ফিনল্যান্ড উপসাগরে ফেরিতে করে বাসটি পার হবে। তারপর ইউরোপ মহাদেশের সর্বউত্তরের পয়েন্ট নর্ডক্যাপ হয়ে নরওয়ের জর্ডসের দীর্ঘ, গভীর ও সরু জলপথ পেরিয়ে লন্ডনে যাবে। তুরস্ক থেকে যাত্রা শুরুর পর লন্ডনে পৌঁছাতে বাসটিকে পাড়ি দিতে হবে ১২ হাজার কিলোমিটার পথ।
আর বিশ্বের দীর্ঘতম বাসযাত্রায় ভ্রমণকারীদের পরিশোধ করতে হবে ২৪ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ২৯৬ টাকার বেশি।
এই টাকায় যাত্রীদের হোটেলে অবস্থান, প্রত্যেক দিনের সকালের নাস্তার পাশাপাশি ৩০ দিনের মধ্যাহ্নভোজ ও রাতের খাবারের ব্যবস্থাও করবে অ্যাডভেঞ্চার ওভারল্যান্ড। অর্থাৎ হোটেলে থাকা এবং খাওয়ার জন্য যাত্রীদের অতিরিক্ত কোনও অর্থ পরিশোধ করতে হবে না।
প্রায় দুই মাস ধরে বাসে ভ্রমণ কোনও কোনও যাত্রীর কাছে তেমন ভালো নাও লাগতে পারে। সেজন্য দীর্ঘপথের যাত্রার ব্ষিয়টি মাথায় রেখে গাড়িটিকে অত্যন্ত আরামদায়ক হিসেবে নকশা করা হয়েছে। অ্যাডভেঞ্চার ওভারল্যান্ড বাসটিকে ‘বিশেষ বিলাসবহুল’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম বাস পথ পেরুর লিমা থেকে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো পর্যন্ত চালু আছে। লিমা থেকে রিও ডি জেনিরোতে বাসে করে পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হয় ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ।