ধনী কিংবা দরিদ্র, প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্য, সারা পৃথিবীতেই ইফতারের অভিন্ন উপাদান হচ্ছে খেজুর। সারাদিনের সিয়াম পালন শেষে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইফতার করতেন খেজুর ও পানি দিয়ে। তাই গোটা মুসলিম বিশ্বেই রমজান মাসে খেজুরের চাহিদা থাকে আকাশচুম্বি। খবর এপির।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার হিসেবে, বিশ্বে প্রতি বছর অন্তত ৯০ লাখ টন খেজুর উৎপাদিত হয়। যার অর্ধেকই আসে মিসর, সৌদি আরব ও ইরান থেকে। এরমধ্যে মিশর, সৌদি আরব ও ইরানে উৎপাদন হয় যথাক্রমে ১৭, ১৫ ও ১৩ লাখ মেট্রিক টন
এছাড়া, বছরে লাখ লাখ টন খেজুর চাষ হয় আলজেরিয়া, ইরাক, ওমান, আরব আমিরাত ও জর্দানের মতো মধ্যপ্রাচ্যের গরমপ্রধান দেশগুলোতে।
সারাবিশ্বে ছোট এই ফলের হরেক রকম প্রজাতির দেখা মেলে। সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় কিং মেডজুল, ব্ল্যাক মেডজুল, মাবরুম, আজওয়া, দেগলেট নুর, পিয়ারোম মালিক। মদিনায় উৎপাদিত আজওয়া খেজুরকে বিবেচনা করা হয় সবচেয়ে অভিজাত ও দামি হিসেবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, সারাদিন সংযমের পর তাৎক্ষণিক শক্তির অন্যতম উৎস ফ্যাটমুক্ত এই ফল। তাজা কিংবা শুকনো যেমনি হোক, খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট, সুগার, প্রোটিন ও ফাইবারের মতো উপাদান। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আসে এই ফল থেকে।
উল্লেখ্য, মরু অঞ্চলগুলোতে হাজার হাজার বছর ধরে খেজুর চাষ হয়ে আসছে। কেবল সৌদি আরবেই আছে অন্তত ৩ কোটি খেজুর গাছ। সবচেয়ে বেশি খেজুর চাষ হয় দেশটির বুরাইদাহ এলাকায়।
খেজুর চাষিরা বলছেন, পুরুষ ও নারী দুই ধরনের গাছই রয়েছে। কিন্তু ফল হয় কেবল নারী গাছে। প্রাপ্তবয়স্ক একটি গাছ থেকে মৌসুমে পাওয়া যায় অন্তত ১০০ কেজির বেশি খেজুর।
আরব দেশগুলোর রফতানি আয়েরও বড় একটি অংশ আসে খেজুর থেকে। মাত্র দুই দশক আগেও এ ফল রফতানিতে শীর্ষে ছিল ইরাক।