গত সপ্তাহে একটি বিভ্রান্তিমূলক খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোড়নের সৃষ্টি হয় বিশ্বজুড়ে। খবরে ভুলক্রমে জানান দেয়া হয়েছিল, ফেসবুক তাদের একাউন্টের জন্য মাসে ১২ ডলার ফিস ধার্য করবে। প্রাথমিক পর্যায়ে তা শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। তারপর আসবে আমেরিকাতেও। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে খবরটি সঠিক নয়। ফেসবুকের মাদার কোম্পানি মেটা জানিয়েছে তারা কেবল তাদের জন্য ১২ ডলার ফিস চার্জ করবে, যারা ভেরিফিকেশন সার্ভিস গ্রহণ করবে। যাদের একাউন্ট ভেরিফাই করা হবে তাদের আইডি দেখে, তাদের ফেসবুক একাউন্ট ‘ভেরিফাইড’ হিসাবে গণ্য করা হবে। ফলে তাদের ফেসবুকের কভার পেজে নীল রঙের একটি চেক চিহ্ন থাকবে। মেটা এই শর্তকে বাধ্যতামূলক না করলেও তাদের ফেসবুক কাস্টমারদের ভেরিফিকেশনের অনুরোধ জানিয়েছে হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, কেবল জাকারবার্গ একা নন, টুইটারের এলন মাস্কও সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি টুইটার একাউন্টের বেসিক সিকিউরিটি ফিচারের জন্য ফিস ধার্য করবেন। এখন এই ফিচার ফ্রি। টুইটার জানিয়েছে, টু-ফ্যাক্টর টেক্সট মেসেজ অথেনটিফিকেশনের মাধ্যমে তারা বিশেষ সার্ভিস চালু করবে। এই সার্ভিসের নাম বøু সার্ভিস। এই সার্ভিসের জন্য ৮ ডলার পে করতে হবে। যারা বøু সার্র্ভিস নেবে না তাদের ট্ইুটার একাউন্টের সিকিউরিটি একাউন্টের কোনো নিশ্চয়তা দেবে না টুইটার কর্তৃপক্ষ। এ্যাপলও প্রাইভেসি ও সিকিউরিটির নামে ফিস নেয়।
একটি ইন্টারনেট সিকিউরিটি কোম্পানির সিইও ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে জানান, এখনকার সময়টা হচ্ছে হ্যাকিংএর। কিছু অর্থের বিনিময়ে হলেও সকলের উচিত সিকিউরিটি নিশ্চিত করা।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, এতদিন ফেসবুক বা টুইটার কিংবা অন্য সোশাল মিডিয়া সার্ভিস দিয়ে আসছে বিনামূল্যে। তাদের অর্থের উৎস বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনের বাজারে টান পড়ায় এই দুই সোশাল মিডিয়া জায়ান্ট অন্যপথে অর্থ উপার্জনের জন্য সিকিউরিটির নামে অর্থ আয় করতে চাচ্ছে। যেমন গুগল এখন পর্যন্ত কোনো ফিস ধার্য করেনি। তারা কেবল বাড়তি স্টোরেজের জন্য ফিস নেয়।
ফেসবুক ও টুইটার সিকিউরিটির অজুহাতে ফিস ধার্য করায় তোপের মুখে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ জুড়ে আমেরিকার গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হচ্ছে।