চলতি বছরের বিলিয়নিয়ার তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস। এই তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে পৃথিবীতে ২ হাজার ৭৮১ জন বিলিয়নিয়ার রয়েছেন। তাঁদের সবার সম্পদ একসঙ্গে যোগ করলে হয় ১৪.২ ট্রিলিয়ন ডলার।
ফোর্বসের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে এই বছর সম্পদের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। দেশটির ২৫ জন নতুন বিলিয়নিয়ার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ল্যান্ডমার্ক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেণুকা জাগতিয়ানির নামটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দেশটির সর্বশেষ নারী বিলিয়নিয়ার হিসেবে রেণুকার মোট সম্পদ দেখানো হয়েছে ৪.৮ বিলিয়ন ডলার।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেণুকার স্বামী ছিলেন মিকি জাগতিয়ানি। গত বছরের মে মাসে মিকি মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দুবাইভিত্তিক বহুজাতিক ভোক্তা সংস্থা ল্যান্ডমার্ক গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রেণুকা। ল্যান্ডমার্ক গ্রুপে রেণুকার অধীনে ৫০ হাজারেরও বেশি কর্মী কাজ করছে।
শুধু স্বামীর বদৌলতে নয়, ব্যবসায়িক জ্ঞান দিয়ে রেণুকা নিজেই নিজের পরিচয় দাঁড় করিয়েছেন। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি কলা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। ২০০৭ সালের এশিয়ান বিজনেস অ্যাওয়ার্ডসে (মিডল ইস্ট) তিনি এশিয়ার সেরা ব্যবসায়ী নারীর খেতাব পেয়েছিলেন। পরবর্তী সময় ২০১২ সালের জানুয়ারিতে গালফ বিজনেস ইন্ডাস্ট্রি অ্যাওয়ার্ডে তিনি বছরের সেরা ব্যবসায়ী নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে ওয়ার্ল্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ফোরাম তাঁকে ‘বিশ্ব উদ্যোক্তা’ হিসাবে সম্মানিত করে। ২০১৫ সালে ভারতীয় সিইও অ্যাওয়ার্ডে বছরের সেরা কৌশলগত নেতা হিসাবে স্বীকৃতি পান। ২০১৬ সালে স্টার অব বিজনেস অ্যাওয়ার্ড থেকে ‘ক্যাপ্টেন অব দ্য ইন্ডাস্ট্রি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন। অবশেষে ২০১৭ সালে তাঁকে বৈশ্বিক রিটেইল কংগ্রেসের ‘হল অব ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৩ সালে ল্যান্ডমার্ক গ্রুপে যোগদান করেন রেণুকা। সে সময় তিনি প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কৌশল এমনভাবে পরিচালনা করেন যে ল্যান্ডমার্ক গ্রুপ মধ্যপ্রাচ্য, ভারতীয় উপমহাদেশ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকাজুড়ে বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতা চ্যানেলে পরিণত হয়।
আরতি, নিশা ও রাহুল নামে রেণুকার তিন সন্তান রয়েছে। তাঁরা সবাই ল্যান্ডমার্ক গ্রুপে পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, ফোর্বসের ২০২৪ সালের বিলিয়নিয়ার তালিকায় ২৬৫ জন নতুন বিলিয়নিয়ার যোগ হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ২০২৩ সালে ফোর্বস তালিকায় ১৫০ জন নতুন বিলিয়নিয়ার যুক্ত হয়েছিলেন।