সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর। দীর্ঘদিন পরে পরিবারের সকলেই কয়েক সপ্তাহ বাংলাদেশ ভ্রমন করে কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে আবার সবাই ফিরে এলাম বরফের দেশে। গতকাল ২৯শে জানুয়ারী সর্বশেষ আমার স্ত্রী ও মেয়ে ফিরে এলেন। এর আগে ২২শে জানুয়ারী ফিরেছে আমার ছেলে। অনেকেই বিমানের টিকিট সস্তা পেলেও আমাকে ডাবল মুল্যে টিকিটগুলো কিনতে হয়েছিল। ছেলে মেয়ে সবাই যার যার পড়াশুনা চাকুরীতে ব্যস্ত থাকায় কারো সাথে কারো ভ্যাকেশন টাইম মেলানো যাচ্ছিল না। একটু আগ পিছ করে বেশী টাকা দিয়ে হলেও বিমানে চড়ে বসলাম আমরা। মুল উদ্দেশ্য ছিল ছেলে মেয়েকে বাংলাদেশের সাথে কানেকশন বৃদ্ধি করা।
সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে পুরোপুরি। দেশের প্রতি ওদের টান যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে আল্লাহর রহমতে। আত্মীয় স্বজন, মাটি মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরী হয়েছে ওদের এই অল্প কদিনেই। ওরা এখন বারবার ফিরে যেতে চায়। সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশের রাজনীতিটা বাদে সব কিছুই অতুলনীয় এবং পৃথিবীর সেরা। রাজনীতিটা ভাল হলে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ হতে পারতো পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ।
প্রথমবারের মত আমরা সকলেই এবার বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণ করার সুযোগ পেলাম। কাষ্টমার সার্ভিসে পক্ষপাতিত্ব কমিয়ে আন্তর্জাতিক মান করতে পারলে বিমানের সাথে অন্য এয়ারলাইনস পাত্তা পাবে না। যথেষ্ট পরিমানে খাবার দিলেও আন্তর্জাতিক মানের ভ্যারাইটিজ বিবেচনায় নেয়া হয় নি। এরকম দু একটি বিষয় বাদ দিলে বিমানের টরন্টো ঢাকা ফ্লাইট চমৎকার নিঃসন্দেহে।
ভ্রমণের আগে আমি এবং আমার পরিবারের বিমান নিয়ে একটা অজানা ভয় থাকলেও এখন আমরা যে কাউকে ফার্ষ্ট চয়েজ হিসেবে বিমানকেই রিকমেন্ড করবো তাতে কোন সন্দেহ নেই। ১৮ই জানুয়ারী টরন্টো ফিরে আসার আগের দিন কিছুটা অস্বস্তিকর অসুস্হ্য বোধ করায় অনেকের সাথে বিদায় নিয়েও আসতে পারি নি। একান্ত ইচ্ছে থাকা সত্তেও অনেকের সাথে দেখা করতে পারলাম না। আশা করি ভবিষ্যতে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
ঢাকায় কর্মরত বিমানের সিকিউরিটি অফিসার গোয়ালন্দের স্নেহাস্পদ আবু সাইদকে আন্তরিক ধন্যবাদ আমাদেরকে সাধ্যাতিত হেল্প করার জন্যে। বিমানের টরন্টো ষ্টেশন ম্যানেজার মশিকুর রহমানকেও আন্তরিক ধন্যবাদ। আশা করি খুব শীঘ্রই আবারও দেখা হবে ইনশাল্লাহ।