এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ককপিটে পাইলটের বান্ধবীকে ডাকার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ডিজিসিএ। অভিযুক্ত পাইলটসহ সেই ফ্লাইটে থাকা সব বিমানকর্মীকে ‘গ্রাউন্ডেড’ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে নিজের বান্ধবীকে ককপিটে ডেকে নিয়েছিলেন পাইলট। প্রায় এক ঘণ্টা ককপিটেই কাটিয়েছিলেন সেই তরুণী। এমনকী পাইলট এক বিমানসেবিকাকে বালিশও দিয়ে যেতে বলেছিলেন। এ ঘটনায় নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে। এর জেরেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ডিজিসিএ।
এদিকে শুধু ককপিটে ডেকে বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটানোই নয়, পাইলটের তরফে আরও নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছিল এ ফ্লাইটে।
বিমানকর্মীর অভিযোগ, ক্রুদের সঙ্গে কথা বলে বিমানচালক নির্দেশ দেন, তার বান্ধবীকে যেন বিজনেস ক্লাসের খাবার পরিবেশন করা হয়। যদিও পাইলটের বান্ধবী ইকোনমি ক্লাসের টিকিট কেটেছিলেন।
এ ছাড়া বিজনেস ক্লাসে খালি আসন থাকলে তাকে জানাতে বলেছিলেন ক্যাপ্টেন। বান্ধবীকে বিজনেস ক্লাসের আসন পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এই কথা বলেছিলেন ক্যাপ্টেন। এসব অভিযোগে এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কারণে গত শুক্রবার সেই ফ্লাইটের সব বিমানকর্মী এবং পাইলটদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিজিসিএ।
অভিযোগকারী বিমান সেবিকার দাবি, ক্যাপ্টেন তার বান্ধবীকে ডেকে ককপিটে নিয়ে আসতে বলেছিলেন। তার স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বাঙ্ক থেকে কিছু বালিশও আনতে বলেছিলেন। এর পর বিমানচালকের বান্ধবী এসে ফার্স্ট অবজারভারের আসনে বসেন। এর পর সেই পাইলট বান্ধবীর জন্য মদ ও স্ন্যাকসের অর্ডার দেন। ককপিটেই তা পরিবেশন করা হয়। এদিকে বিমান সেবিকা ককপিটে মদ পরিবেশনে আপত্তি জানালে সেই ক্যাপ্টেন নাকি তার সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেন।
ডিজিসিএর সিভিল এভিয়েশন রেগুলেশন অনুসারে, বিমানকর্মী এবং যাদের কাছে পাইলট-ইন-কমান্ডের অনুমতি রয়েছে, শুধু এমন ব্যক্তিদেরই ককপিটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। তা ছাড়া ককপিটে প্রবেশ করতে হলে রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা পরীক্ষা করতে হয়। তবে এসব নিয়মই লঙ্ঘন করা হয়েছিল ২১ ফেব্রুয়ারির সেই ফ্লাইটে।