নয়াদিল্লি এবং অটোয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা আরও এক ধাপ বৃদ্ধি করেছে কানাডা। দেশটি থেকে ভারতে আগত যাত্রীদের ওপর অতিরিক্ত নজরদারি আরোপ করেছে সেখানকার সরকার। নিরাপত্তা জোরদার করতেই ভারতে আগত যাত্রীদের ওপর নজরদারি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার পরিবহন মন্ত্রী অনিতা আনন্দ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, ভারতে ভ্রমণকারীদের ওপর নজরদারি বাড়াতে কানাডার বিমানবন্দরগুলোতে অস্থায়ী নিরাপত্তা স্ত্রিনিং ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে যাত্রীদের বিমান পর্যন্ত পৌঁছাতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হতে পারে বলে জানিয়েছেন কানাডার পরিবহন মন্ত্রী।
এই নিরাপত্তার বিষয়টি তদরকি করবে কানাডিয়ান এয়ার ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি অথরিটি (সিএটিএসএ)। সংস্থাটি জানিয়েছে বিমান্দরের অভ্যন্তরে প্রবেশের আগেই যাত্রী এবং তাদের সঙ্গে থাকা লাগেজ স্ত্রিনিং সম্পন্ন করা হবে। এই সিদ্ধান্তের পর থেকে ভারতীয় যাত্রীদের অতিরিক্ত সময়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে যাত্রা শুরুর কমপক্ষে চার ঘণ্টা আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
যাত্রীদের লক্ষ্য করে এয়ার কানাডার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতে ভ্রমণিচ্ছু যাত্রীদের উচ্চতর নিরাপত্তা আদেশের কারণে বিমানবন্দরে অপেক্ষার সময় প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে দীর্ঘ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা আপনাদের অন্তত চার ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর অনুরোধ করছি।’ কানাডায় সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে ভারতীয় এজেন্ট যুক্ত রয়েছে, অটোয়া পুলিশের এমন অভিযোগের এক মাস পর ভারতে আগতদের উপর নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দেশটির সরকার। এতে দিল্লি-অটোয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
কানাডায় চাঁদাবাজি, ভয় দেখানো, জবরদস্তি ও হয়রানিমূলক বেশ কিছু অপরাধের সঙ্গে ভারতীয় সরকারের মদদপুষ্ট এজেন্টরা জড়িত বলে তথ্য দিয়েছে সেখানের পুলিশ। যদিও কানাডার এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও অমূলক বলে নাচক করেছে দিল্লি। উত্তেজনার প্রথম ধাপে উভয় দেশই প্রতিপক্ষের রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়। দিল্লির সঙ্গে অটোয়ার সম্পর্ক ঘোলাটে হওয়ার পেছনে দায়ী কানাডার মাটিতে শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ড। কানাডার গোয়েন্দা তথ্যমতে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। যদিও ভারত এখনও এ বিষয়টি স্বীকার করেনি।