আগুনে পুড়ে গিয়েছিল জো অ্যান ইউসারি নামের মহিলার বাড়ি। এরপর এক উদ্ভট চিন্তা তার মাথায় চাপে। আর সেটা হলো সাধারণ বাসাবাড়ি নয়, এখন থেকে একটি যাত্রীবাহী বিমানই হবে তার থাকার জায়গা। সূত্র: সিএনএন
তারপর পরিত্যক্ত একটি বোয়িং ৭২৭ বিমান কিনে নেন জো অ্যান দেড় হাজার ডলার দিয়ে। পরে নিজের একটি প্লটে এনে রাখেন এটি। ৬ মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করে তিনি সেটিকে বসবাসের উপযোগী বাড়ি হিসেবে গড়ে তোলেন। বেশির ভাগ কাজ নিজেই করেন। অবশেষে বিমানটি একটি সুন্দর বাসা-বাড়িতে পরিণত হয়।
দেড় হাজার বর্গফুটের এই বাসায় আছে তিনটি শয়নকক্ষ, দুটি গোসলখানা। আর ককপিটের জায়গায় রয়েছে উষ্ণ পানির একটি বাথটাবও। সেই নব্বই দশকে পুরো কাজটিতে সম্পন্ন করতে অ্যানকে ব্যয় করতে হয়েছে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৩ লাখ টাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের বেনোইট শহরের বাসিন্দা অ্যান পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। বেসামরিক বিমান পরিবহনের সঙ্গে তার কোনো যোগসূত্র ছিল না। অ্যানকে বিমানে বাস করার এই উদ্ভট পরামর্শ দেন তার দুলা ভাই। তিনি পেশায় একজন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার। অ্যান ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বিমানে ওই বাড়িতে বসবাস করেন।
অবশ্য বিমানকে বাসাবাড়ি বানানো অ্যান একমাত্র ব্যক্তি নন। তার এই নিখুঁত প্রকল্পে অন্যরাও উৎসাহিত হয়েছেন। ১৯৯০–এর দশকের শেষ দিকে ব্রুস ক্যাম্পবেল উড়োজাহাজে বসবাস শুরু করেন। তড়িৎ প্রকৌশলী ক্যাম্পবেল বলেন, ‘আমি গাড়ি চালিয়ে রেডিও শুনতে শুনতে বাসায় ফিরছিলাম।ওই সময় অ্যানের বিমানে বসবাসের গল্পটি বলা হচ্ছিল। ঘটনাটি এতোটাই বিস্ময়কর ঠেকছিল যে গাড়ি চালানোর ওপর মনোযোগ ছিল না।’
অরেগন অঙ্গরাজ্যের হিলসবোরোতে গাছ ঘেরা একটি এলাকায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে একটি পরিত্যক্ত ৭২৭ বিমানকে বাসা বানিয়ে বসবাস করছেন ক্যাম্পবেল। তিনি বলেন, এমন একটি অগ্রসর ধারণা দেওয়ার জন্য অ্যানের প্রতি কৃতজ্ঞ।