‘স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ ২০২৫-২৬’ কর্মসূচির আওতায় হাঙ্গেরি সরকার বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করেছে। শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের আওতায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে হাঙ্গেরিতে পড়ার সুযোগ পাবেন। ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এ বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে।
স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকামের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে আবেদন করা যাবে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর শতাধিক শিক্ষার্থী যোগ্যতাপূরণ সাপেক্ষে এ স্কলারশিপ পাবেন।
২০১৩ সাল থেকে হাঙ্গেরি সরকার স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ দিয়ে আসছে। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে চালু হয় এই স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপের অধীন টিউশন ফি সম্পূর্ণ ফ্রি। পাশাপাশি পাওয়া যাবে স্বাস্থ্যবিমা ও আবাসনের সুবিধা। তবে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট ও ডক্টরাল- তিনটির যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। দেশটির ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা যাবে এ বৃত্তির আওতায়।
হাঙ্গেরির পেকস বিশ্ববিদ্যালয় স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ দেয়। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রতিবছর পাঁচটি মহাদেশের প্রায় ৮০টি দেশের পাঁচ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী এ বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। এই বৃত্তির লক্ষ্য হলো হাঙ্গেরিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ানো এবং হাঙ্গেরির উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শীর্ষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে উত্সাহিত করা।
স্কলারশিপে যত সুযোগ-সুবিধা
সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করবে, ডরমিটরিতে বিনা মূল্যে আবাসনের সুবিধা, স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা দেবে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চলাকালে বছরে দেবে ৪৩ হাজার ৭০০ হাঙ্গেরিয়ান ফোরিন্ট, পিএইচডির জন্য দেবে ১ লাখ ৪০ হাজার হাঙ্গেরিয়ান ফোরিন্ট।
যেসব বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে
৩১টি স্নাতক, ২৯টি স্নাতকোত্তর ও ১৫টি পিএইচডি প্রোগ্রাম অফার করা হয় এ বৃত্তিতে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসা ও অর্থনীতি, কলা ও প্রকৌশল।
আবেদনের যোগ্যতা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে, ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে ১২ বছরের স্কুল সার্টিফিকেট লাগবে, স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে,
পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে, আইএলটিএস ছাড়া এমওআই সনদ দিয়ে আবেদন করা যাবে। তবে প্রোগ্রামভেদে আইএলটিএস সনদ প্রয়োজন হতে পারে। প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে আইএলটিএসের ওপর গুরুত্ব বেশি দেওয়া হবে। ৩১ আগষ্ট ২০০৭ বা এর আগেই জন্ম হতে হবে (অনার্স)। আন্ডার গ্রাজুয়েট পর্যায়ে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
আপনি যে প্রোগ্রামে আবেদন করতে চাইবেন, সেই প্রোগ্রামের দেওয়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত (সিভি), একাডেমিক সব সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, রিকমেন্ডেশন লেটার, স্টেটমেন্ট অব পারপাস, গবেষণা প্রস্তাব (স্নাতক)।
লক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো
প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে ইংরেজির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্নাতক পর্যায়ে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই বৃত্তির লক্ষ্য হলো হাঙ্গেরিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ানো এবং হাঙ্গেরির উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শীর্ষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে উত্সাহিত করা। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল—তিনটির যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। একাধিক আবেদন করলে আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। অসম্পূর্ণ আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
আবেদন করবেন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে এখানেক্লিক করুন। এবং আবেদনের পদ্ধতিসহ অন্য সব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে এখানেক্লিক করুন।