মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে অনেকেই বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে চান। কিন্তু ইচ্ছে আর বাস্তবায়নের মধ্যে বাদ সাধে খরচ। যোগ্যতা থাকলেও শুধুমাত্র অর্থের জন্য অনেক শিক্ষার্থীকেই পিছিয়ে আসতে হয়। তাই তো মধ্যবিত্ত পরিবারের বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। তবে হাজারের সমস্যার মধ্যেও রয়েছে আশার আলো। যার জন্য মানতে হবে কিছু সহজ টিপস। আর সেগুলো মেনে চলতে পারলেই বিদেশে গিয়েও পড়াশোনা করা সম্ভব।
কোন কোর্স পড়বেন?
বিদেশে পড়ার পরিকল্পনা করলে সবার আগে কোন কোর্স পড়বেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু তাই নয়, সেই কোর্সের ভবিষ্যতে ক্যারিয়ারের কতটা সম্ভাবনা রয়েছে তাও ভেবে নেওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে কোন কোর্সটি পড়লে অন্যান্য কোর্সের চেয়ে বেশি লাভ হবে সেগুলোর বিষয়ে ভালো করে জেনে নিতে হবে।
স্কলারপশিপের বিষয়ে খোঁজ-খবর
কোর্স নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পরবর্তীতে স্কলারশিপের বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে।
কোন দেশে কেমন খরচ
প্রতিটি দেশের জীবনযাত্রার খরচ আলাদা। তাই শুধু পড়াশোনার নয়, অন্য় একটি দেশে গিয়ে থাকার খরচ নিয়ে জানতে হবে। সেক্ষেত্রে অভিভাবকদের খোঁজ নিতে হবে যে সন্তান কতদিনের কোর্স করতে যাচ্ছে, নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে থাকা-খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে কেমন খরচ হতে পারে।
খরচের হিসেবে বিভিন্ন দেশের তুলনা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া- এইসব দেশ পছন্দ করেন। সেখানে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কোর্স পড়ানো হয়, খরচ কেমন এই ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই খোঁজ রাখা দরকার। যেমন ডাক্তারি অর্থাৎ মেডিক্যাল সংক্রান্ত পড়াশোনার ক্ষেত্রে রাশিয়া এবং চীনে খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। এর পাশাপাশি জার্মানি, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনার খরচ আমেরিকা এবং ব্রিটেনের তুলনায় কম।
আগে থেকে প্রস্তুতি
বিদেশের কোন প্রতিষ্ঠানে পড়তে চান, সেখানে কীভাবে সুযোগ পাওয়া যাবে সেবিষয়ে অনেক আগে থেকে খোঁজ নিতে হবে। অনেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দেন। আবার অনেকে বিদেশ থেকে স্নাতকোত্তর পড়তে চান। তাই সবার আগে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। এরপর পড়ুয়াদের চাহিদা অনুযায়ী খোঁজখবর নেওয়া শুরু করতে হবে।