মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রকিদের চাকরি দিতে ব্যর্থ নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমার। তিনি বলেন, অনেক নিয়োগকর্তা বেশি কর্মী নিয়ে আসলেও চাকরি দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এমন নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমর। ৩০ সেপ্টেম্বর পেনাংএর পেরাই শিল্প এস্টেটে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশি শ্রমিকদের চাকরি দিতে ব্যর্থ নিয়োগকর্তাদের বিরদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং তাদের অবশ্যই আদালতে আনা উচিত।
শিবকুমার বলেন, অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বাংলাদেশি কর্মীদের চাহিদা বেশি মালয়েশিয়ায়, আর তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি। মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া তথ্যমতে, ৬ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন ৪,২৩,৫৬৯ জন কর্মীর চাহিদাপত্র সত্যায়ন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষাধিক বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন এবং বাকি কর্মী মালয়েশিয়া আসার জন্য প্রক্রিয়াধীন ও অপেক্ষমান।
মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমার। ছবি- সংগৃহীত
যারা মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই কাজ পাচ্ছেন না। মাসের পর মাস তাদের হোস্টেলে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। কাজ না পেয়ে বাংলাদেশি কর্মীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, অনেক নিয়োগকর্তা তাদের সামলানোর চেয়ে বেশি অভিবাসী শ্রমিক নিচ্ছেন। মার্চ মাসে বিদেশি কর্মীদের গ্রহণ অ্যাপ্রোভাল বন্ধ হওয়ার আগে, বেশিরভাগ সংস্থাগুলো বিপুল সংখ্যক বিদেশি কর্মীদের অনুরোধ করেছিল, এই প্রত্যাশায় যে তারা যা দাবি করা হয়েছিল তার অর্ধেকই পাবে।
প্রগতিশীল মজুরি প্রণোদনা
শিবকুমার প্রগতিশীল মজুরি ব্যবস্থা গ্রহণকারী সংস্থাগুলোর জন্য প্রণোদনার কথাও বলেছেন, যেখানে কর্মক্ষমতা এবং উদ্যোগের ভিত্তিতে কর্মীদের পুরস্কৃত করা হয়।
গত এপ্রিলে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, মালয়েশিয়ায় আসার পর চাকরি না পাওয়া একদল বাংলাদেশি শ্রমিক। ছবি- সংগৃহীত
ন্যূনতম মজুরি সবার জন্য বাধ্যতামূলক থাকবে, যখন প্রগতিশীল মডেল বেছে নেবে তারা সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা পাবে।
অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের জন্য প্রণোদনা
দক্ষতা-ম্যাচিং প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিগগির একটি একাডেমি-ইন-ইন্ডাস্ট্রি প্রোগ্রাম চালু করা হবে। শ্রমিকরা বাণিজ্যিক কোম্পানিতে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ পাবে, সরকার তাদের মূল বেতনের শীর্ষে কোম্পানিতে তাদের ১৮ মাস থাকার সময় ১,৫০০ রিঙ্গিত ভাতা দেবে। তাদের হোস্টিং এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া সংস্থাগুলোও নগদ প্রণোদনা পাবে। এমনটি জানিয়েছেন মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি, শিবকুমার।