জনমত জরিপের ভিত্তিতে ও গুরুত্বপূর্ণ একটি উপনির্বাচনে হারের পর এ ঘোষণা দিল প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল সরকার।
নতুন এ উদ্যোগের লক্ষ্য, বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীসহ কানাডায় অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা কমানো।
আগামী বছরের অক্টোবরে কানাডায় নির্বাচন। এর আগে এই অভিবাসী ইস্যু দেশটির রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে।
অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার জানিয়েছেন, নতুন লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৩৭ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীকে কানাডায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
দেশটির পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৯০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীকে প্রবেশ করতে দিয়েছিল কানাডা। আর ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাসে পারমিট পেয়েছেন মাত্র ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২০ জন। যদিও ২০২৪ সালে লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ৮৫ হাজার পারমিট দেওয়া।
মার্ক মিলার বুধবার বলেন, সরকার আশা করছে, নতুন পরিবর্তনগুলোর ফলে আগামী তিন বছরে আরও ৩ লাখ কম শিক্ষার্থীকে অনুমতি দেওয়া হবে।
এই পরিবর্তনের ফলে কিছু বিদেশি শিক্ষার্থী ও অস্থায়ী বিদেশি কর্মীর স্বামী বা স্ত্রীদেরও কাজের অনুমতি পাওয়াও সীমিত হয়ে যাবে।
কানাডা বরাবরই অভিবাসীদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে থাকে। তবে অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ার পর ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার।
কানাডা সরকার ইতিমধ্যে দেশটির অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে এ হার ছিল ৬.৮ শতাংশ।