বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো শুরু হলো বিদেশি পাইলটদের প্রশিক্ষণ প্রদান। বোয়িং সেভেন এইট সেভেন-ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে এদেশে এসেছেন মঙ্গোলিয়ার পাইলটরা। বিদেশি পাইলটদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়াতেই প্রথম। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার পাশাপাশি, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও বাড়বে বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরেচারটি বোয়িং ট্রিপল সেভেন ও দুটি সেভেন থ্রি সেভেন এর পাশাপাশি আধুনিক প্রজন্মের বোয়িং সেভেন এইট সেভেন ড্রিমলাইনার রয়েছে ৬টি। বিমানের এসব উড়োজাহাজের দীর্ঘমেয়াদী, জটিল ও উচ্চ কারিগরি সি চেক কার্যক্রম নিজস্ব হ্যাঙ্গারেই করেন বিমানের প্রকৌশলীরা।
এবার বিদেশি পাইলটদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়ার মধ্যদিয়ে বিমানের ডানায় যুক্ত হলো আরো একটি সাফল্যের পালক। মঙ্গোলিয়া সম্প্রতি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ কিনেছে। তাদের পাইলটরা এবার হাতে কলমে ড্রিমলাইনার চালনার প্রশিক্ষণ নিতে এসেছে বাংলাদেশে। ১২জন ট্রেইনার পাইলট ও ফার্স্ট অফিসারের একটি গ্র“প তিনমাসের এই প্রশিক্ষণ নেবে। শুক্রবার সকালে ড্রিমলাইনার সোনার তরীর ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে লন্ডন পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় এ প্রশিক্ষণ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শফিউল আজিম জানান, বিমানের পাইলটদের সুনাম থাকায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ চালিয়ে নিজ দেশে উড়ে যাবেন মঙ্গোলিয়ার পাইলটরা।