অনেক বছর পর অবশেষে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশটি বিদেশিদের জন্য সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এখন পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। এই উদ্যোগ উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত নেতা কিম জং ইলের জন্মদিন উদ্যাপনের সঙ্গে মিল রেখে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই উদ্যোগ দেশটির পর্যটনশিল্পকে নতুনভাবে চাঙা করতে সাহায্য করবে।
এমন সিদ্ধান্তের কারণ
অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার জন্য পর্যটনের দিকে নজর দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। ২০১৯ সালে চীনা পর্যটকদের ভ্রমণ থেকে দেশটি প্রায় ১৭৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। এখন পর্যন্ত চীনের বেইজিংভিত্তিক দুটি পর্যটন সংস্থা কোরিও ট্যুরস ও ইয়ং পাইওনিয়ার ট্যুরস ঘোষণা দিয়েছে। তারা পাঁচ বছর পর আবার উত্তর কোরিয়ায় ভ্রমণ পরিচালনা করবে।
পর্যটকদের জন্য রাসন শহর
উত্তর কোরিয়ার প্রধান গন্তব্য রাসন শহর। এটি চীন ও রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা। রাসন শহরটি ১৯৯১ সালে উত্তর কোরিয়ার প্রথম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ভিন্ন অর্থনৈতিক নীতির আওতায় পরিচালিত হয়। ফলে এটি উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক কাঠামো বোঝার জন্য আগ্রহী পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে।
পর্যটনে সীমাবদ্ধতা
পর্যটন নিয়ে উত্তর কোরিয়ার এমন উদ্যোগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখনো স্পষ্ট নয় যে অন্য আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থাগুলো একই ধরনের অনুমতি পাবে কি না। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। ২০১৭ সালে মার্কিন শিক্ষার্থী ওটো ওয়ার্ম বিয়ারের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত
তবে এই সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও পর্যটকদের মধ্যে উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। কোরিও ট্যুরসের গ্রেগ ভাচজি জানান, বহু মানুষ দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। সেটি এখন শুরু হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, যদি দেশটির সাহায্য পুরোপুরি পাওয়া যায়, তাহলে এই শিল্প দিয়ে উত্তর কোরিয়া দ্রুত ভালো অবস্থানে পৌঁছাবে।
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের নজর এখন উত্তর কোরিয়ার দিকে। কারণ, এই সীমান্ত উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তের কারণে আবার আন্তর্জাতিক অঙ্গন এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে দেশটির ভালো সম্পর্ক গড়ার সুযোগ তৈরি হবে।
সূত্র: প্রেস্টিজ