সুইডেন অভিবাসীদের দেশটিতে নাগরিকত্ব অর্জনের শর্ত আরও কঠোর করতে চলেছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দেশটির মধ্য-ডানপন্থি সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে।
নতুন প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সুইডেনের নাগরিকত্ব পেতে হরে হতে হলে একজন বিদেশিকে সুইডেনে আট বছর বসবাস করতে হবে। বর্তমান আইনে পাঁচ বছর বসবাস করলে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।
এছাড়া আবেদনকারীদের সুইডিশ সমাজ ও মূল্যবোধ সম্পর্কে একটি যাচাই পরীক্ষা এবং সুইডিশ ভাষা দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একটি কমিশন দেশটির সরকারকে এসব সুপারিশ করেছে।
কমিশনের সভাপতি কিরসি লাকসো উটভিক বলেন, অভিবাসীরা দেশটিতে অবস্থানরত অবস্থায় ‘সম্মানজনক আচরণ’ করার প্রয়োজনীয়তা জোরদার করা উচিত। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, এটির অর্থ হচ্ছে যেসব ব্যক্তি কোনও অপরাধ করেছে অথবা ঋণগ্রস্ত তারা বর্তমান আইনের মতো এত সহজে নাগরিকত্ব পেতে সক্ষম হবে না।
সুইডেনের অভিবাসন মন্ত্রী জোহান ফোরসেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘নাগরিকত্ব অর্জন করতে হবে, এটি নিঃশর্তভাবে প্রদান করা উচিত নয়। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে, সুইডেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষকে স্বাগত জানিয়েছে।”
জোহান ফোরসেল যোগ করেন, “সুইডেনে প্রযোজ্য মূল্যবোধ সম্পর্কে সর্বদা খুব স্পষ্ট থাকা ‘গুরুত্বপূর্ণ’। পরিবার এবং লিঙ্গ সমতা বিরাজ করা গুরুত্বপূর্ন। আপনি ছেলে বা মেয়ে যাকে খুশি বিয়ে করতে পারেন। মানুষের সাঁতার কাটা এবং ফুটবল খেলাসহ সকল অধিকার রয়েছে। যদি আমরা এসব শর্ত মেনে না নিই তাহলে সুইডেন সেটি মেনে নেবে না। দেশটা সবার জন্য।”
২০১৫ সালে সুইডেনে বিপুল সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীর আগমনের পর দেশটির বাম এবং ডান সরকারগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আশ্রয় সংক্রান্ত নিয়ম কঠোর করেছে।
অভিবাসন-বিরোধী অতি-ডানপন্থী সুইডেন ডেমোক্র্যাট সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের সরকার ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অভিবাসন নীতির উপর কঠোর বিধিনিষেধ চালু করেছে।
২০২৪ সালে সুইডেনে শরণার্থী মর্যাদা প্রাপ্ত অভিবাসীদের সংখ্যা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।