কিছু দেশ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি প্রদান করে। নিচে এমন কয়েকটি দেশের তথ্য তুলে ধরা হলো:
১. মাল্টা: মাল্টায় ‘ইনভেস্টমেন্ট সিটিজেনশিপ প্রোগ্রাম’ রয়েছে, যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, জাতীয় উন্নয়ন তহবিলে সাড়ে ৬ লাখ ইউরো জমা, সরকারি বন্ডে দেড় লাখ ইউরো বিনিয়োগ, এবং সাড়ে ৩ লাখ ইউরো মূল্যের সম্পত্তি ক্রয় করতে হয়। এছাড়াও, আবেদনকারীদের অন্তত ১২ মাস মাল্টায় বসবাস করতে হবে।
২. সাইপ্রাস: সাইপ্রাসে বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে, আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়, যা সাধারণত স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়ের মাধ্যমে হতে পারে। তবে, ২০২০ সালে সাইপ্রাস তাদের ‘সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট’ প্রোগ্রাম বাতিল করেছে।
৩. বুলগেরিয়া: বুলগেরিয়ায়ও বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে, সরকারি বন্ড বা স্থাবর সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করতে হয়। তবে, এই প্রোগ্রাম সম্পর্কিত শর্তাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
৪. পর্তুগাল: পর্তুগালে ‘গোল্ডেন ভিসা’ প্রোগ্রামের আওতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের সম্পত্তি ক্রয়ের মাধ্যমে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়। পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যেতে পারে।
৫. স্পেন: স্পেনে ৫ লাখ ইউরো বা তার বেশি মূল্যের সম্পত্তি ক্রয়ের মাধ্যমে ‘গোল্ডেন ভিসা’ পাওয়া যায়। দশ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা সম্ভব।
৬. গ্রিস: গ্রিসে ২ লাখ ৫০ হাজার ইউরো বা তার বেশি মূল্যের সম্পত্তি ক্রয়ের মাধ্যমে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশে ভ্রমণ ও বসবাসের সুবিধা মেলে।
৭. তুরস্ক: তুরস্কে ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বা তার বেশি মূল্যের সম্পত্তি ক্রয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। তবে, সম্পত্তি ক্রয়ের পর তিন বছর পর্যন্ত তা বিক্রি করা যাবে না।
প্রতিটি দেশের নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাসের প্রোগ্রামের শর্তাবলী সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই, বিনিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ওয়েবসাইট বা অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
Like this:
Like Loading...