বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সম্পদশালী ব্যক্তিদের জন্য নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি প্রদান করে, যা সাধারণত “সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট” বা “গোল্ডেন ভিসা” প্রোগ্রাম নামে পরিচিত। এই প্রোগ্রামগুলির মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে, বিশেষ করে রিয়েল এস্টেটে, নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়। নিচে এমন কয়েকটি দেশের বিবরণ দেওয়া হলো:
১. তুরস্ক (Turkey):
তুরস্কে $৪০০,০০০ মূল্যের রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন করা যায়। আবেদন প্রক্রিয়া মাত্র চার মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এই নাগরিকত্বের মাধ্যমে ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুযোগ পাওয়া যায়।
২. সেন্ট কিটস ও নেভিস (St. Kitts and Nevis):
এখানে $২০০,০০০ মূল্যের রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করলেই নাগরিকত্ব মেলে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগে ৩ থেকে ৬ মাস। এই পাসপোর্ট দিয়ে ১৬০টিরও বেশি দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সম্ভব।
৩. গ্রিস (Greece):
গ্রিসের ‘গোল্ডেন ভিসা’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে €২৫০,০০০ মূল্যের রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়। এই ভিসা নিয়ে ইউরোপের শেঞ্জেন দেশগুলোতে সহজেই ভ্রমণ করা যায়।
৪. মাল্টা (Malta):
মাল্টায় নাগরিকত্ব পেতে হলে প্রায় €৭০০,০০০ মূল্যের রিয়েল এস্টেট কিনতে হয় অথবা ভাড়া নিতে হয় অন্তত ৫ বছরের জন্য। পাশাপাশি, সরকার নির্ধারিত অর্থ অনুদান হিসেবেও জমা দিতে হয়। মাল্টা নাগরিকত্ব নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে বসবাস ও কাজ করার সুযোগ মেলে।
৫. স্পেন (Spain):
স্পেনের গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রামের মাধ্যমে €৫০০,০০০ মূল্যের রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ করে বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়। কয়েক বছর পর স্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
৬. পর্তুগাল (Portugal):
যদিও ২০২৩ সালে রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগের অপশনটি বাতিল হয়েছে, তবে অন্যান্য ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যমে এখনো গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া যায়।
এই প্রোগ্রামগুলির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা নতুন বাজারে প্রবেশাধিকার, আর্থিক রিটার্ন, এবং বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের সুবিধা পেতে পারেন। তবে, প্রতিটি দেশের নির্দিষ্ট শর্তাবলী ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়ে বিনিয়োগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
Like this:
Like Loading...