খাল বিল আর নদী পদ্মা, মেঘনা, যমুনা নিয়ে বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। নদী এদেশের অর্থনীতিতে একটি বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে। তাইতো এদেশের জনগণের জীবন জীবিকা নদীকে ঘিরে । নৌকা গ্রাম বাংলার প্রধান বাহন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই দেশ জীববৈচিত্রে ভরপুর। পার্বত্র চট্টগ্রাম এবং সিলেটের পাহাড় পর্বত এই এলাকাগুলোকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলেছে। এদেশের ঐতিহ্য, কৃষ্টি বৈচিত্রময় লাইফস্টাইল এবং সংস্কৃতির প্রভাব সর্বত্র।
সুন্দরবনে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিন এবং কুমিরের বাসস্থান বন্য প্রাণীর অভয়অরন্য। এ্যাডভেঞ্চার টুরিজমের প্রতি যাদের প্রচন্ড আগ্রহ তারা একবার ঘুরে আসতে পারেন সুন্দরবন। আপনার ভাল লাগবে। বিভিন্ন ভ্রমন সংস্থা ভ্রমন প্যাকেজ পরিচালনা করছে। প্রকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি, ঐতিহ্য আর ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে অনেক স্মৃতি দেখতে পাবেন ঢাকা, চিটাগাং, সিলেট এবং খুলনায়। পাহাড় নদী বেষ্টিত এই সোনার বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঘুরতে হবে সারাটি দেশ। বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ এবং জাতির বসবাস এই বাংলাদেশে।
কবিগুরুর আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি গানটি তাইতো বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।
গ্রীষ্মকালের আসল রূপটি দেখতে হলে আপনাকে আসতে হবে বাংলাদেশে। নদীর পানিতে গোসল, মজা করে গ্রীষ্মকালীন আম খেতে বা ফলের রস খেয়ে তৃষ্ণা মেটাতে আপনাকে বাংলাদেশে আসতেই হবে। আমাদের আবহাওয়া আমাদের দেশের মাটির সাথে মিলে মিশে আছে। রং রস যেন মিশে আছে জলবায়ুর সাথে। ছোট্ট একটি দেশ ১,৪৭,৫৭০ বর্গমাইল মাত্র কিন্তু ছয়টি ঋতুর বৈচিত্রময় প্রভাব এখানে পড়েছে।
বর্ষাকালে শুধুমাত্র বৃষ্টিই হয় না, পুরো প্রকৃতি যেন জেগে উঠে। শহর গ্রামের সর্বত্র সবুজের আসল রূপ নিয়ে ফুটে উঠে। নদী খাল বিল পানিতে ভরে যায়। দেশের মানুষ এক নতুন উদ্দীপনায় নেচে গেয়ে উঠে। বর্ষার পরেই আসে বসন্ত। সারা আকাশ সাদা মেঘে ভরে যায়। কাশফুলের মেলা বসে। এই সময় গ্রামের মাঠগুলো ধানে ভরে যায় এবং ধান কাটার পরগ্রামের ঘরে ঘরে নবান্নর উৎসবে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে। গ্রামের মহিলারা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত থাকে।