ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ।ছয়টি ঋতুর বৈচিত্রময় প্রভাব সর্বত্রই পরিলক্ষিত। গ্রীষ্মকালের আসল রূপটি দেখতে হলে আপনাকে আসতে হবে বাংলাদেশে। নদীর স্বচ্ছ পানিতে প্রান ভরে গোসল, মজা করে গ্রীষ্মকালিন ফল খেতে বা ফলের রসে তৃষ্ণা মেটাতে আপনাকে আসতে হবে বাংলাদেশ।
বর্ষাকালে বৃষ্টিতে পুরো প্রকৃতি যেন জেগে উঠে। গ্রামের সর্বত্র সবুজ তার আসল রূপ নিয়ে ফুটে উঠে।বর্ষার পরেই আসে বসন্ত। সারা আকাশ সাদা মেঘে ভরে যায়। কাশফুলের মেলা বসে। গ্রামের ঘরে ঘরে নবান্নের উৎসব চলে। কৃষকের মুখে তখন হাসি ফুটে ওঠে। গ্রামের মহিলারা তখন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত থাকে।
কুয়াশা দিয়ে শীতকাল শুরু হয়। শীতকালের ভাপা পিঠা এবং ভিজানো চিতই পিঠার প্রচলন শহর ও গ্রামের সর্বত্রই দেখা যায়। খেজুর গাছের রস খেতে হলে যেতে হবে গ্রামে। গাছে গাছে পাখির মেলা দেখতে পাবেন সেখানে। গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর অতিথিয়তা আপনাকে মুগ্ধ করবে। তাই বারবার গ্রামে বেড়াতে যেতে মন চাইবে।
ষড়ঋতুর সবচেয়ে আকর্ষন হলো বসন্তকাল। এই সময় সব গাছে গাছে ফুল ফোটে। কৃষ্ণচূড়া লাল ফুলে ভরে উঠে। গ্রামের ঘরে ঘরে চলে বসন্ত উৎসব। প্রকৃতি যেন তার সবকিছু উজাড় করে দেয় এই সময়। গাছে গজায় নতুন পাতা, পুরান পাতা ঝরে পড়ে। প্রকৃতিতে একটা সাজ সাজ রব। প্রকৃতির দিকে তাকালে বোঝা যায় বসন্ত এসে গেছে। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয় গ্রাম। শোনা যায় বউ কথা কও পাখির ডাক।