বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের পর তৃতীয় এয়ারলাইন্স হিসেবে বাংলাদেশের হজযাত্রী বহনের অনুমতি পেল সৌদি আরবভিত্তিক কম খরুচে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান ফ্লাইনাস। এ বছর থেকেই এয়ারলাইন্সটি হজযাত্রী বহন করতে পারবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ফ্লাইনাসকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়। অনুমতিপত্রে ডিজিটালি (স্ক্যান করা) স্বাক্ষর করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান।
গত ২০ এপ্রিল এ বিষয়ে সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি থেকে বাংলাদেশের বেবিচককে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী বহনের জন্য তৃতীয় এয়ারলাইন্স হিসেবে ফ্লাইনাসকে মনোনীত করা হয়েছে। সৌদির সিভিল এভিয়েশন হজযাত্রী পরিবহনে ফ্লাইনাসকে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া আশা করছে। অনুমতি পাওয়া পর ফ্লাইনাস তাদের ফ্লাইট সংখ্যা এবং সময়সূচি ঘোষণা করবে।
বেবিচকের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্প্রতি ফ্লাইনাসকে অনুমতি দিয়ে বেবিচকের ফিরতি চিঠিতে বলা হয়েছে, হজযাত্রী বহনে ফ্লাইনাসের ফ্লাইট পরিচালনায় বাংলাদেশের বেবিচকের কোনো আপত্তি নেই। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের হজচুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরবের ফ্লাইনাস ৫০ শতাংশ হজযাত্রী বহন করতে পারবে।
এতে আরও বলা হয়, ফ্লাইনাস যদি কূটনীতিকভাবে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে হজ ফ্লাইটের আবেদন করে সেক্ষেত্রে বেবিচক সেই আবেদনে অনুমোদন দেবে।