মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে পড়াশোনা

  • আপডেট সময় সোমবার, ৫ মে, ২০২৫
১. কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন:
প্রথমে ঠিক করুন কোন বিষয়ে পড়াশোনা করতে চান। পর্তুগালে অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেমন:
• University of Porto
• University of Lisbon
• University of Coimbra
• NOVA University Lisbon
এছাড়াও অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
২. ভর্তি যোগ্যতা (Eligibility):
• উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) বা সমমানের সনদ
• ব্যাচেলর কোর্সের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ
• মাস্টার্সের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রি লাগবে
• কিছু কোর্সে ইংরেজিতে পড়াশোনা হয়, সেক্ষেত্রে IELTS বা TOEFL স্কোর লাগতে পারে। সাধারনত IELTS ৬.০ বা তার বেশি স্কোর চাওয়া হয়।
• কিছু কোর্স পর্তুগীজ ভাষায় হয়, সেক্ষেত্রে পর্তুগীজ ভাষার সার্টিফিকেট লাগতে পারে (A2/B1 Level)।
৩. আবেদন প্রক্রিয়া (Application Process):
• বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
• প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে: পাসপোর্ট, শিক্ষা সনদ, মার্কশিট, ভাষার সার্টিফিকেট (যদি চাওয়া হয়)।
• কিছু ক্ষেত্রে SOP (Statement of Purpose) ও রেফারেন্স লেটারও জমা দিতে হয়।
৪. টিউশন ফি এবং খরচ:
• পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে আনুমানিক ২০০০-৪০০০ ইউরো টিউশন ফি।
• প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি তুলনামূলক বেশি, ৫০০০-৮০০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে।
• মাসে থাকার ও খাবারের খরচ প্রায় ৪০০-৭০০ ইউরো মতো হয় (লোকেশন অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে)।
৫. ভিসা আবেদন (Student Visa):
পড়াশোনার জন্য National Visa (D Type) নিতে হয়।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
• বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার
• ভিসা আবেদন ফর্ম
• বৈধ পাসপোর্ট
• ফাইনান্সিয়াল সাপোর্ট ডকুমেন্ট (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
• হেলথ ইন্স্যুরেন্স
• হোস্টেল বুকিং বা থাকার প্রমাণপত্র
• পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (PCC)
৬. ভিসা ইন্টারভিউ:
ইন্টারভিউতে সাধারনত পড়াশোনার প্ল্যান, পর্তুগালে কেন যাচ্ছেন, ফাইনান্সিয়াল সাপোর্ট আছে কিনা – এসব প্রশ্ন করা হয়। আত্মবিশ্বাসের সাথে উত্তর দিতে হবে।
৭. পর্তুগালে গিয়ে:
• বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
• SEF (Serviço de Estrangeiros e Fronteiras) এ গিয়ে Residence Permit-এর জন্য আবেদন করতে হবে।
৮. কাজের সুযোগ (Work Opportunities):
• স্টুডেন্ট ভিসা থাকলে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পার্ট-টাইম কাজ করা যায়।
• ছুটির সময় ফুল-টাইম কাজ করা যায়।
• পড়াশোনা শেষ করে Post Study Work Permit এর সুবিধা পাওয়া যায় (বিশেষ করে মাস্টার্স বা উচ্চতর পড়াশোনার পর)।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com