শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ থেকে জার্মান অপরচুনিটি কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি

  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

ইউরোপের যে রাষ্ট্রগুলো কর্মজীবন ও অবকাশ যাপনের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলেছে, সেগুলোর মধ্যে প্রথম সারির দেশ জার্মানি।

চলুন, জার্মান অপরচুনিটি কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

জার্মান অপরচুনিটি কার্ড কি

ইইউ, ইইএ (ইউরোপীয়ান ইকোনমিক এরিয়া) কিংবা সুইজারল্যান্ডের বাইরের দেশগুলোর দক্ষ কর্মীদের জন্য চাকরির উদ্দেশ্যে জার্মানিতে প্রবেশের অনুমতি হলো অপরচুনিটি কার্ড। এটি মূলত একটি রেসিডেন্ট পার্মিট, যার মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ১ বছর এবং এই সময়ের মধ্যেই কার্ডধারীকে চাকরির ব্যবস্থা করতে হয়। স্বভাবতই কার্ডটি সংগ্রহের জন্য প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট কর্মসংস্থানের যোগ্যতা স্বরূপ যথাযথ প্রমাণ পেশ করতে হয়।

জার্মান অপরচুনিটি কার্ড কাদের জন্য

ইইউ, ইইএ বা সুইজারল্যান্ডের বাইরের দেশগুলোর প্রধানত দুই ধরনের নাগরিকদের এই কার্ড সরবরাহ করা হয়।

১/ সম্পূর্ণ জার্মানি স্বীকৃত পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী:

যাদের পেশাগত দক্ষতার প্রমাণ করতে পারে এমন জার্মানি স্বীকৃত কোনো শিক্ষাগত বা পেশাগত সনদ  রয়েছে। এই যোগ্যতা অর্জন নিজ দেশে জার্মানি স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা জার্মানিতে অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে হতে পারে

২/ যারা এখনও নির্দিষ্ট কোনো দক্ষতায় প্রতিষ্ঠিত কর্মী নন, তবে নিম্নোক্ত শর্তগুলো পূরণ করেছেন-

জার্মানির কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অথবা নিজ দেশে জার্মানি স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন

জার্মানির কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা নিজ দেশে জার্মানি স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে ২ বছরের ভোকেশনাল ট্রেনিং নেওয়া

কমন ইউরোপিয়ান ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্স ফর ল্যাঙ্গুয়েজেস বা সিইএফআর অনুসারে কমপক্ষে লেভেল-এ১ জার্মান ভাষা দক্ষতা বা কমপক্ষে লেভেল-বি২ ইংরেজি ভাষা দক্ষতা। আইইএলটিএস স্কোর ৫ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৫, আর টোফেল আইবিটি-তে ৭২ থেকে ৯৪ সিইএফআর লেভেল বি২ এর সমতুল্য।

জার্মান অপরচুনিটি কার্ডের পয়েন্ট সিস্টেম

২য় ক্যাটাগরির শর্তগুলো সুক্ষ্মভাবে যাচাইয়ের জন্য সেগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট আরোপ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে যারা ন্যূনতম ছয় পয়েন্ট অর্জন করতে পারে তাদের কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। মানদণ্ডগুলোতে পয়েন্ট বণ্টন পদ্ধতি নিম্নরূপ-

যোগ্যতার সমতা: (৪ পয়েন্ট)

সম্পন্নকৃত ডিগ্রি বা ট্রেনিং আংশিকভাবে সমতুল্য প্রমাণিত হলে ৪ পয়েন্ট যুক্ত হবে। যে দক্ষতাগুলো চূড়ান্তভাবে অনুশীলনের জন্য লাইসেন্স নিতে হয়, সেগুলোর লাইসেন্স হওয়ার আগেও ৪ পয়েন্ট পাওয়া যাবে। তবে রেসিডেন্ট পার্মিটের আগে অবশ্যই লাইসেন্স পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে হবে।

সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন পেশার যোগ্যতা: (১ পয়েন্ট)

জার্মানির চাকরির বাজারে যে ডিগ্রি বা ভোকেশনাল ট্রেনিংগুলোর সর্বাধিক চাহিদা রয়েছে সেগুলোর জন্য নির্ধারিত ১ পয়েন্ট। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাইনিং ম্যানেজার, হেল্থ সার্ভিস ম্যানেজার, কেমিস্ট, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাফিক এবং মাল্টিমিডিয়া ডিজাইনার এবং সফটওয়্যার ডেভেলপার।

জার্মানিতে সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন পেশাগুলোর পূর্ণ তালিকা এই লিংকে পাওয়া যাবে-

https://www.make-it-in-germany.com/fileadmin/1_Rebrush_2022/a_Fachkraeft…

পেশাগত অভিজ্ঞতা: (২ থেকে ৩ পয়েন্ট)

স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর তার প্রাসঙ্গিক পেশায় বিগত সর্বোচ্চ ৫ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে প্রার্থী ২ পয়েন্ট পাবেন। আর বিগত সর্বোচ্চ ৭ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতার জন্য দেওয়া হবে ৩ পয়েন্ট পাবেন।

ভাষা দক্ষতা: (১ থেকে ৪ পয়েন্ট)

জার্মান ভাষা পারদর্শিতার জন্য সিইএফআর অনুযায়ী এ২ লেভেলের জন্য রয়েছে ১ পয়েন্ট। লেভেল বি১-এ ২ এবং লেভেল বি২ বা তার উপরের স্তরের জন্য নির্ধারিত ৩ পয়েন্ট। এর সঙ্গে অতিরিক্ত ১ পয়েন্ট যোগ হবে যদি ইংরেজি ভাষা দক্ষতা লেভেল সি১ বা তার উপরে থাকে, অথবা প্রার্থী যদি নেটিভ স্পিকার হন।

বয়স: (১ থেকে ২ পয়েন্ট)

অনুর্ধ্ব ৩৫ বছর বয়সি প্রার্থীদের জন্য থাকবে ২ পয়েন্ট। ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সিরা পাবেন ১ পয়েন্ট।

জার্মানিতে বসবাসের রেকর্ড: (১ পয়েন্ট)

বিগত সর্বোচ্চ ৫ বছরের মধ্যে অন্তত ৬ মাস ধরে জার্মানিতে বৈধভাবে বসবাস করলে তার জন্য ১ পয়েন্ট যুক্ত হবে। এই বসবাস বেড়ানো, অধ্যয়ন, কিংবা কাজ যে কোনো উদ্দেশ্যে হতে পারে।

স্বামী বা স্ত্রীর দক্ষ কর্মী হওয়া: (১ পয়েন্ট)

আবেদনকারী দম্পতির যে কোনো একজন অপরচুনিটি কার্ডের শর্ত পূরণ করলে অন্যজন ১ পয়েন্ট পাবেন।

চূড়ান্ত ভাবে আবেদন প্রস্তুতি শুরুর পূর্বে আবেদনের যোগ্যতা নিচের লিংকে যেয়ে যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে-

https://www.make-it-in-germany.com/en/visa-residence/self-check-opportun…

জার্মান অপরচুনিটি কার্ডের সুবিধাগুলো

এই কার্ডের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য জার্মানিতে কাজ খোঁজার অনুমতি দেওয়া হয়। ১ বছর পর জার্মানিতে থাকা অবস্থায় কার্ডের মেয়াদ ২ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আবেদন করা যায়। এখানে কার্ডধারীরা চাকরি বা স্ব-নিযুক্ত হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারেন।

এই পার্মিটের মাধ্যমে সপ্তাহে সর্বমোট ২০ ঘণ্টা এক বা একাধিক খণ্ডকালীন চাকরি করা যায়। চাকরি অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে কার্ডধারীরা প্রতি কোম্পানিতে সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহের জন্য জব ট্রায়াল করতে পারবেন।

জার্মান অপরচুনিটি কার্ডের জন্য আবেদন পদ্ধতি

আবেদনের প্রথম পদক্ষেপ হলো অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণ। অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিংয়ের লিংক-

https://app.digital.diplo.de/registration?at=08586dd4-41f3-405d-99b9-619…

অতঃপর জার্মানির আবেদন পোর্টাল ভিআইডিইএক্স-এ কার্ড ভিসার অনলাইন আবেদন করতে হবে। আবেদন প্ল্যাটফর্মের লিংক-
https://videx.diplo.de/videx/visum-erfassung/videx-langfristiger-aufenthalt

আবেদন সম্পন্ন করার পর তার প্রিন্ট নিয়ে তাতে আবেদনকারীকে নিজে সই করতে হবে।

প্রয়োজনীয় নথিপত্র

সম্পূর্ণভাবে পূরণকৃত ভিআইডিইএক্স আবেদন ফর্ম

বৈধ পাসপোর্ট (গত ১০ বছরের মধ্যে ইস্যুকৃত এবং যেখানে ভিসার জন্য কমপক্ষে ২টি খালি পৃষ্ঠা রয়েছে)। ডেটা পৃষ্ঠাসহ পূর্বের কোনো ভিসা থাকলে সেই পৃষ্ঠাগুলোর অনুলিপি সংযুক্তি হিসেবে দিতে হবে।

বায়োমেট্রিক স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৬ মাসের বেশি পুরনো হওয়া যাবে না)

সইকৃত সম্মতির ঘোষণাপত্র
(https://dhaka.diplo.de/bd-en/service/visa-einreise/-/2669542)

ভোকেশনাল বা একাডেমিক প্রশিক্ষণের শংসাপত্রসহ এগুলোর সমতুল্যতার জন্য জার্মানি কর্তৃক স্বীকৃতি (অনুলিপিসহ মূল কপি) এর সমতুল্যতা যাচাইয়ের জন্য https://zab.kmk.org/en/app/zeugnisbewertung-এই লিংকে যেয়ে আবেদন করা যাবে। আবেদনের পূর্বশর্ত বিস্তারিত
https://zab.kmk.org/en/dab-এই লিংকে পাওয়া যাবে। ভোকেশনাল যোগ্যতার একটি স্বীকৃতি পত্রের মূল্য ১৫০ ইউরো বা ১৯ হাজার ৭৬৬ টাকা (১ ইউরো = ১৩১ দশমিক ৭৭ বাংলাদেশি টাকা)।

o বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির জন্য অ্যানাবিন ডাটাবেস
(http://anabin.kmk.org/anabin.html)-এ ডিগ্রি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অন্তর্ভুক্তির প্রমাণ
অথবা,
জেডএবি (সেন্ট্রাল অফিস ফর ফরেন এডুকেশন) দ্বারা সমতুল্যতার বিবৃতি (অনুলিপিসহ মূল নথি):
https://zab.kmk.org/en/app/pre-check-এই লিংকে সমতুল্যতা অগ্রিম যাচাই করে নেওয়া যাবে।

লাইসেন্স যোগ্য দক্ষতার ক্ষেত্রে পেশা অনুশীলনের লাইসেন্স থাকলে তার অনুলিপিসহ মূল নথি যুক্ত করতে হবে। যেমন চিকিৎসা সেবা প্রদানের নিমিত্তে মেডিকেল লাইসেন্স

পূর্ববর্তী নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা নিশ্চিতকরণ চিঠি

মোটিভেশন লেটার বা স্টেটমেন্ট অব পার্পাস, যেখানে নিম্নলিখিত তথ্যাদি থাকতে হবে: প্রার্থী জার্মানিতে কী ধরনের কাজ করতে ইচ্ছুক

জার্মান ভাষা শেখার সময়কাল

ইইউ দেশগুলোর মধ্যে প্রার্থী কেন জার্মানিকে নির্বাচন করেছেন

ইতোমধ্যে কোনো কোম্পানিতে চাকরির আবেদন করে থাকলে অথবা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেয়ে থাকলে সেই কোম্পানির নাম

সিভি ও কভার লেটার (ইংরেজির পাশাপাশি জার্মান ভাষাতেও প্রস্তুত রাখা আবশ্যক)

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ স্বরূপ জার্মানিতে একটি ব্লক অ্যাকাউন্ট: প্রতি মাসে কমপক্ষে ১ হাজার ২৭ ইউরো বা ১ বছরে মোট ১২ হাজার ৩২৪ ইউরো (১৬ লাখ ২৩ হাজার ৯৮৩ টাকা) এবং রিটার্ন ফ্লাইটের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল

অন্য কেউ প্রার্থীর এই ব্যয়ভার বহন করে থাকলে তার পক্ষ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ স্বীকারোক্তি মূলক ঘোষণাপত্র (মূল নথি দিতে হবে)

স্বাস্থ্য বীমার প্রমাণ: (ভিসা সংগ্রহের সময় এই নথি সরবরাহ করতে হবে) ন্যূনতম কভারেজ ৩০ হাজার ইউরো (৩৯ লাখ ৫৩ হাজার ২২০ টাকা)
অথবা, একটি পাবলিক জার্মান স্বাস্থ্য বীমার কাগজ: প্রথম ৩ সপ্তাহের জন্য একটি ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমাসহ জার্মান স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পক্ষ থেকে একটি চিঠি

জার্মানিতে বাসস্থানের প্রমাণ: (যে পরিবারের সঙ্গে থাকা হবে তাদের পক্ষ থেকে লিখিত আমন্ত্রণ, অথবা হোটেল বুকিং) পূর্ণ ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে

অপেশাদার অথচ যোগ্যতা সম্পন্নদের জন্য অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

জার্মানিতে পূর্বে বৈধভাবে বসবাসের প্রমাণ: বৈধ ভাড়া চুক্তি, কর্মসংস্থানের শর্তাবলী, পরিষেবা চুক্তি, ভিসা ও এন্ট্রি স্ট্যাম্পসহ পাসপোর্ট

স্বামী-স্ত্রী একত্রে আবেদন করলে তাদের বিবাহ সনদপত্র দ্বারা জমা দেওয়া সুযোগ কার্ডের আবেদনের প্রমাণ সংযুক্ত করুন।

আবেদন জমা এবং কার্ড ভিসা ফি প্রদান

সফলভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং হলে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানিয়ে প্রার্থীকে একটি নিশ্চিতকরণ ই-মেইল দেওয়া হবে। সেই তারিখে আবেদনপত্রসহ কার্ড ভিসার যাবতীয় কাগজপত্র সঙ্গে করে জার্মান দূতাবাসে যেতে হবে।

ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাসের ঠিকানা: ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানির দূতাবাস, ১১ মাদানী এভিনিউ, বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক ইনক্লেভ, ঢাকা-১২১২।

এই কার্ড ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াকরণ ফি ৭৫ ইউরো (৯ হাজার ৮৮৩ টাকা)।

কার্ড ভিসা পেতে কত সময় লাগে

এই অপরচুনিটি কার্ডের আবেদন প্রক্রিয়াকরণে কয়েক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ ৬ মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। অযাচিত বিলম্ব এড়াতে আগে থেকেই ভালোভাবে আবেদন করা এবং আপ-টু-ডেট নথি জমা দেওয়া আবশ্যক। কার্ড প্রস্তুত হয়ে গেলে জার্মান দূতাবাস থেকে ই-মেইল বা ফোন কলের মাধ্যমে প্রার্থীকে জানানো হবে।

বাংলাদেশিদের উন্নত জীবনের জন্য জার্মান অপরচুনিটি কার্ড নিঃসন্দেহে এক দারুণ সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। তবে এই সুযোগ পেতে ইংরেজির  পাশাপাশি জার্মান ভাষা শেখা এবং একটি নির্দিষ্ট কাজে পারদর্শিতা থাকা আবশ্যক। শুধু তাই নয়, এই প্রস্তুতিগুলো বাংলাদেশ থেকেই নিশ্চিত করে আসা জরুরি। এতে করে জার্মানিতে পৌঁছে চাকরি খোঁজার জন্য নির্ধারিত ১ বছর মেয়াদ খুব সংকীর্ণ মনে হবে না। বরং কম সময়ের মধ্যেই উপযুক্ত দক্ষতা অনুসারে কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়া সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com