গত বছর যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক লোক ব্রিটেনে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করেছে তার তালিকা প্রকাশ করেছে হোম অফিস। তালিকার প্রথম দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছয় নম্বরে। শীর্ষে আলবেনিয়া যেখান থেকে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ আবেদন করেছে। তার পরে রয়েছে যথাক্রমে আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইরিত্রিয়া, ভারত, সুদান ও পাকিস্তান।
এই তালিকায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান এই তিনটি দেশ আমাকে বিস্মিত করেছে। তিনটিই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ এবং তার মধ্যে নরেন্দ্র মোদির ভারত ও শেখ হাসিনার বাংলাদেশ অভূতপূর্ব গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের দাবিদার। ভারত থেকে এসেছে ৩,২০০। দেশটির বিপুল জনসংখ্যার হিসেবে বাকি দেশগুলোর তুলনায় এই সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। বাংলাদেশ থেকে আবেদন করেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ। তবে আরো বিস্ময়কর হচ্ছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার পরেও এই শীর্ষ দশে নেই শ্রীলঙ্কা।
তালিকার বাকি দেশগুলো হয় যুদ্ধকবলিত, অথবা নেই আইনের শাসন কিম্বা সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একনায়কতন্ত্র। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে এত মানুষের ব্রিটেনে আশ্রয় চাওয়ার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে? অবকাঠামোর অভূতপূর্ব উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, সিঙ্গাপুর কানাডায় পরিণত করার প্রতিশ্রুতি সত্বেও তারা স্বদেশে নিরাপদ বোধ করছে না।
অথচ একটি দেশ যতই এগিয়ে যাক, তার জনণের মধ্যে দেশের প্রতি আস্থা ও নিরাপত্তা বোধ তৈরি হওয়াও উন্নয়নের একটি বড় শর্ত।
লেখকঃ সাংবাদিক, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে কর্মরত।
(লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া)