বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ থেকে ইউকে/লন্ডন ভিসা পাওয়ার উপায়

  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
বাংলাদেশ থেকে ইউকে/লন্ডন ভিসা পাওয়ার উপায় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য : যেগুলো সবার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত । শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিবেন।
🟢যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। শিক্ষা, কাজ, বিনিয়োগ, ভ্রমণ কিংবা স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য লন্ডনে যাওয়ার নানা সুযোগ রয়েছে। সঠিক ভিসা ক্যাটাগরি বেছে নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে সহজেই লন্ডনে যাওয়া সম্ভব।
🟢 লন্ডন যাওয়ার জন্য ভিসার ক্যাটাগরি
লন্ডনে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে। আপনি যে উদ্দেশ্যে লন্ডনে যেতে চান তার ওপর নির্ভর করে সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে।
১. ভিজিটর ভিসা (Visitor Visa):
লন্ডনে স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণের জন্য এই ভিসা প্রয়োজন। এটি সাধারণত ৬ মাস মেয়াদী হয়।
২. স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa):
লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হলে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
৩. ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (Work Permit Visa):
লন্ডনে বৈধভাবে কাজ করার জন্য এই ভিসা প্রয়োজন। বিভিন্ন পেশার জন্য যেমন কৃষি শ্রমিক, নার্স, ইঞ্জিনিয়ার, এবং নির্মাণ শ্রমিক, আলাদা ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয়।
৪. ইনভেস্টমেন্ট ভিসা (Investment Visa):
লন্ডনে ব্যবসায় বা বিনিয়োগ করার উদ্দেশ্যে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
৫. সেটলমেন্ট ভিসা (Settlement Visa):
পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনের জন্য বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এই ভিসা দেওয়া হয়।
🟢 ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
যে ভিসা ক্যাটাগরিতেই আবেদন করুন না কেন, কিছু সাধারণ কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
1. ভিসার আবেদনপত্র: সঠিকভাবে পূরণ করা আবেদনপত্র।
2. বৈধ পাসপোর্ট: মেয়াদ ভিসার মেয়াদের পরেও কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
3. বায়োমেট্রিক তথ্য: আঙুলের ছাপ এবং ছবি।
4. ভিসা ফি: অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।
5. আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ: ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা স্পন্সরের চিঠি।
6. বাসস্থানের প্রমাণ: লন্ডনে থাকার জায়গার বুকিং বা চুক্তি।
7. ভ্রমণ বীমা: ভ্রমণের সময়কালীন স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় বহনের নিশ্চয়তা।
8. শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট: স্টুডেন্ট বা ওয়ার্ক ভিসার জন্য প্রয়োজন।
9. কাজের অফার লেটার: ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবশ্যক।
10. মেডিকেল সার্টিফিকেট: নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রয়োজন।
11. পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট।
12. ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট: (যদি প্রয়োজন হয়)।
🟢লন্ডন ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া (স্টেপ বাই স্টেপ)
১. সঠিক ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন:
আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী সঠিক ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন।
২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করুন:
উপরের তালিকা অনুযায়ী আপনার ভিসা ক্যাটাগরির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ ও স্ক্যান করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন করুন:
যুক্তরাজ্যের সরকারি ভিসা পোর্টালে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
🌏 যুক্তরাজ্যের ভিসা পোর্টাল https://www.gov.uk/apply-to-come-to-the-uk
৪. ভিসা ফি প্রদান করুন:
নির্ধারিত ভিসা ফি অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে।
৫. বায়োমেট্রিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন:
সাক্ষাৎকারের জন্য স্থানীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (ভিএফএস) অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন।
– VFS Global: UK Visa Application Center https://visa.vfsglobal.com
৬. কাগজপত্র জমা দিন:
নির্ধারিত দিনে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন এবং বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করুন।
৭. সাক্ষাৎকার:
কিছু ভিসা ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার দিতে হতে পারে। এ সময় আবেদনকারীর যোগ্যতা যাচাই করা হয়।
৮. ভিসার সিদ্ধান্ত:
ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার পর সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
🌏গুরুত্বপূর্ণ লিংকসমূহ
1. যুক্তরাজ্যের সরকারি ভিসা ও ইমিগ্রেশন সাইট:
2. VFS Global বাংলাদেশ:
3. বোয়েসেল (সরকারি সংস্থা):
4. ইউকে হাই কমিশন ঢাকা:
লন্ডনে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে সঠিক পরিকল্পনা, ভিসার প্রয়োজনীয়তা এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। অনলাইনে সঠিকভাবে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন এবং ভিসার কাগজপত্র যথাযথভাবে প্রস্তুত করুন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com