সম্প্রতি কলকাতার রাজারহাটে আয়োজিত একটি ইফতার পার্টিতে ইউনূস সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা সামনে আসে। এই অনুষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, কামাল, জাহাঙ্গীর, কোভিদ নানক, নাসিম, মেয়র জাহাঙ্গীর, সম্রাট সহ আওয়ামী লীগের একাধিক পলাতক নেতা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, শেখ রেহানার ছেলে রাদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং তার স্ত্রীও সেখানে ছিলেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি এই মামলাটি করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন খান।
অভিযোগ আরও ঘনীভূত হয়েছে কলকাতায় আয়োজিত এক ইফতার পার্টিতে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরিকল্পনার তথ্য প্রকাশের পর।
সূত্রে জানা গেছে পরদিন একই স্থানে ছাত্রলীগের শতাধিক পলাতক নেতার আরেকটি ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যে কোনো মূল্যে উৎখাতের নির্দেশ দেন এবং তথ্যসূত্রের দাবি অনুযায়ী, তিনি নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেন যে অস্ত্র ও অর্থের অভাব হবে না।
২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর “জয়বাংলা ব্রিগেড” নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বৈঠকে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয় বলে সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে। সেখানে শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের রূপরেখা ও প্রয়োজনে গৃহযুদ্ধের ডাক দেন বলে অভিযোগ।
জানা যায়, শেখ হাসিনার ওই বৈঠকে অংশ নেন দেশ বিদেশের ৫৭৭ জন। এর মধ্যে ৭৩ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেলেও বাকি ৫০৪ জনের পরিচয় উদ্ঘাটনে কাজ করছে সিআইডি।তবে বিভিন্ন তথ্য বলছে মূল মাস্টারমাইন্ড হিসাবে কাজ করেছেন শেখ হাসিনা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও দুবাইতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী ঘনিষ্ঠ নেতারাও একই এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয়। কলকাতা, দিল্লি, আগরতলা ও মেঘালয়ের মাটিও নির্বিঘ্নে ব্যবহার করছেন তারা।
গঠিত হয়েছে বিভিন্ন গ্রুপ। গঠিত হয়েছে কোর গ্রুপ। মধ্য রমজান থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি বৈঠকের তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।