1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
বাংলাদেশের স্মার্ট সিটি উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী জাপান
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন
Uncategorized

বাংলাদেশের স্মার্ট সিটি উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী জাপান

  • আপডেট সময় সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১

স্মার্ট সিটির উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। রবিবার (৪জুলাই) আইসিটি বিভাগের সভাকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।

নওকি বলেন, আমরা বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নসহ অনেক ক্ষেত্রে অবদান রাখছি এবং জাপান এখন স্মার্ট সিটির বিকাশে আগ্রহী। জাপান ও বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিকাশের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার সহযোগিতা আরও বিস্তৃত হয় সে বিষয়ে একত্রে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন এই রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন আইসিটি এখন অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এজেন্সি (জাইকা) প্রযুক্তি নির্ভর মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ২০৪১ সালের জন্য মাস্টার প্ল্যান উন্নত,সমৃদ্ধ করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ict division, Jaica, palak, zunaid ahmed palak

বৈঠককালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জাপানের সহযোগিতায় স্মার্ট সিটি প্রতিষ্ঠা, ইনফরমেশন শেয়ারিং লক্ষ্যে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, হাইটেক পার্কের অধীন জাপান -বাংলাদেশ আইটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জাপানি টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের মাধ্যমে e-waste মানেজমেন্ট প্লান্ট, জাপানি প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, এটুআই পরিচালনায় ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠিত, e-governance আরো টেকসই করা,বাংলাদেশ- জাপান ডিজিটাল সামিট ব্যবস্থা করা সহ বাংলাদেশের আইটি খাতে উন্নয়ন ও বিকাশে যৌথভাবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব জাপানের রাষ্ট্রদূতের কাছে উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ স্মার্ট সিটির বিকাশে কাজ করার আগ্রহের প্রশংসা করে পলক প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের কর্মসূচি – `আমার গ্রাম, আমার শহর’ – অর্থাৎ গ্রামীণ মানুষের কাছে সমস্ত আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে জাপান সহায়তা করতে পারে। কেবলমাত্র স্মার্ট সিটির বিকাশই নয়, আমরা পুরো বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে পরিণত করতে এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অটোমোবাইল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে জাপানের সহায়তা দিতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।প্রতিমন্ত্রী তার উপস্থাপনায় বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অনুসারে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয়-শিল্প-উদ্ভাবন কেন্দ্র এবং গবেষণা ও উন্নয়ন সুবিধাসমূহ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

zunaid ahmed palak, ict division, jaica, japan, palak, ict state minister

তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ইআরডিকে বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিল্প বিপ্লব ৪.০ এবং সোসাইটি ৫.০ সম্পাদনের জন্য বিশেষত্ব পূরণের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৯ টি হাই-টেক / আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছি। এসময় নির্মিত হাইটেক পার্ক সমূহে জাপানি আইটি কোম্পানিদেরকে বিনিয়োগের জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। কারণ সরকার সেখানে ব্যবসায় বান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যের সার্বিক সহযোগিতা প্রধান করেছে।

বৈঠকে আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: বিকর্ণো কুমার ঘোষ এবং জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইত্তেফাক

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com