1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট রোকসানা
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
লস এঞ্জেলেসে ২.৬২ বিলিয়ন ডলারে কনভেনশন সেন্টার সম্প্রসারণ, লক্ষ্য ২০২৮ অলিম্পিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিরা বেদুইন গোষ্ঠী থেকে সৌদি আরব যেভাবে রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে এ বছর ভিসামুক্ত দেশের তালিকা বড় করেছে যেসব দেশ ২১ বছরে বয়সে ১৯৬ দেশ ভ্রমণ! মার্কিন কন্যার বিশ্ব রেকর্ড বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা ছাড়া ৩৯ দেশে ভ্রমণের সুযোগ ইমিগ্রেশনের সময় এই ৭ কথা ভুলেও বলবেন না, ভেস্তে যেতে পারে ভ্রমণ ভিসা নিয়মে আরও পরিবর্তন আনল অ্যামেরিকা, বিপাকে পড়বেন কারা মার্কিন এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ায় বাড়ছে আমিরাতের ভিসার চাহিদা দুবাইয়ে চালু হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ব্যক্তিগত রোবোকার

বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট রোকসানা

  • আপডেট সময় শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

তাঁর ডাকনাম ছিল তিতলী—অর্থ প্রজাপতি। নামের প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়েছিল মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানার ওপর। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম নারী বৈমানিক ছিলেন তিনি।

সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানা জন্মান ১৯৫৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। সে সময় এ দেশের সমাজ ছিল রক্ষণশীল। কিন্তু সেই রক্ষণশীল সমাজে থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন আকাশে ওড়ার। শুধু যে স্বপ্ন দেখেছেন তা-ই নয়, নিজের স্বপ্নকে সত্যি করে ইতিহাসের পাতায় নামও লিখিয়েছেন তিনি। হয়েছেন দেশের প্রথম নারী পাইলট।

অত্যন্ত মেধাবী এবং নানা গুণে পারদর্শী রোকসানা আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো স্বপ্ন দেখতেন না। তাঁর স্বপ্ন ছিল আকাশে ওড়ার। এ কারণে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মেডিকেল স্কলারশিপ এবং ভর্তি হয়েছিলেন বিএসসিতে, ইডেন কলেজে। ১৯৭৬ সালে রোকসানা বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবে যোগ দেন। এর ঠিক দুই বছরের মাথায় ১৯৭৮ সালে পেয়ে যান বাণিজ্যিক বিমান চালানোর লাইসেন্স। শুধু তা-ই নয়, সঙ্গে পেয়ে যান সহ-প্রশিক্ষকের লাইসেন্সও।

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ বিমানের পাইলট নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েও শুরুতে পাইলট হিসেবে নিয়োগ পাননি রোকসানা। সে জন্য করেছেন লড়াই। নিজের সঙ্গে হওয়া এই অন্যায়ের প্রতিবাদে পত্রিকায় তিনি কঠিন ভাষায় চিঠি লেখেন। সেখানে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেন, ‘মহিলা হিসাবে আমি একবিন্দু সুবিধা চাই না বা কোটার সমর্থকও আমি নই, যদি আমি পুরুষের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করিতে পারি, তবে শুধু মেয়ে হইয়া জন্ম নেওয়ার জন্য আমাকে যেন আমার ন্যায্য অধিকার হইতে বঞ্চিত করা না হয়।’

এরপরই বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা, যা পৌঁছে যায় জাতীয় সংসদ পর্যন্ত। অবশেষে সরকারের হস্তক্ষেপে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ তাদের বিজ্ঞাপন থেকে নারী-পুরুষ বৈষম্যের শর্ত সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। এরপর ১৯৭৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট হিসেবে নিয়োগপত্র পান রোকসানা।

তবে আকাশে উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি তাঁর। নিয়োগের পাঁচ বছরের মাথায় ১৯৮৪ সালের ৫ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান রোকসানা। বাংলাদেশের ইতিহাসে যে কয়টি ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটি ছিল অন্যতম। তবে নিজের ক্ষুদ্র জীবনে তিনি রচনা করে গেছেন নতুন ইতিহাস। উড়তে শিখিয়ে গেছেন পরের প্রজন্মের নারীদের।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com