কর্মসংস্থান খুঁজতে ইউরোপে সাগরপাড়ি দিচ্ছে শত শত বাংলাদেশি। ঝুঁকিপূর্ণ নৌযাত্রায় সাগরেই সলিল সমাধি হচ্ছে অনেকের। পথে আটকা পড়ে অনেকে আবার অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তবে এবার অবৈধ অভিবাসীর ঢল থামাতে চায় ইউরোপের দেশগুলো। বাংলাদেশিদের বৈধ কর্মসংস্থানের দ্বার খুলতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সময় সংবাদকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইউরোপে দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, আইসিটি ও স্বাস্থ্য খাতে জনবল নিতে চায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। অবৈধ অভিবাসন নিরুৎসাহিত করে বৈধ কাজের সুযোগ তৈরিতে আগ্রহী ইইউ। মূলত স্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে জনবলের প্রয়োজন রয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর।
ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, মহাদেশটির বাজারে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশি পোশাকের বাজার বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
তবে পোশাকশিল্পের সাফল্য অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ইউরোপে আরও কয়েকটি খাতে বাংলাদেশের ব্যবসার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান চার্লস হোয়াইটলি।
তিনি বলেন, উদীয়মান খাতগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য এখানে উন্নত পরিবেশ দরকার। এছাড়া ইউরোপের বাজারে আইটি, ফার্মাসিউটিকালস, সিরামিক ও পাট শিল্পে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও ইউরোপের বাজারে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ।