শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের আমাজনঃ পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় ভ্রমণ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫

বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। প্রায় ৩৩১ একর আয়তনের এই বন ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্ষাকালে করচ, হিজল, কদমসহ বিভিন্ন জলজ গাছপালায় ভরা এই বন ২০–৩০ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে, যা পর্যটকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে ।

পৃথিবীতে মিঠাপানির যে ২২টি মাত্র জলাবন আছে, “রাতারগুল জলাবন” তার মধ্যে অন্যতম। রাতারগুল সিলেটের সুন্দরবন নামেও খ্যাত। বর্ষায় গাছে গাছে দেখা যায় নানা প্রজাতির বন্যপ্রানী ও পাখ-পাখালি। শীতকালে অসংখ্য অতিথি পাখীর সমাগম ঘটে।

রাতারগুলে পর্যটকদের সুবিধার্থে সম্প্রতি চারটি নতুন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে: পার্কিং এলাকা, ভিজিটর শেড, পর্যটক দোকান ও পাবলিক টয়লেট। এই উন্নয়ন পর্যটকদের জন্য স্বস্তি বয়ে এনেছে । তবে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।  নৌকা ভাড়া তুলনামূলক বেশী এবং ব্যবস্থাপনায় কিছু সমস্যার কথা পর্যটকদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন।

সিলেট শহর থেকে রাতারগুলের দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার। সিএনজি বা লেগুনা ভাড়া করে সকালেই যাত্রা শুরু করে বিকেলের মধ্যে ফিরে আসা যায় ।

বর্ষাকাল (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাতারগুল ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়, কারণ তখন বনটি পানিতে নিমজ্জিত থাকে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় ।

সিলেট শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে, গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট, হোটেল হলি গেট, হোটেল ডালাস, মিতালি রেস্টুরেন্ট, চিক চিকেন, শেফরন রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি ।

তবে যে কোন ভ্রমণেই সতর্ক থাকা জরুরি। বর্ষাকালে রাতারগুল পানিতে ডুবে যাওয়ায় গাছের ডালে সাপের উপদ্রপ দেখা যায় এবং প্রচুর জোঁক থাকে। তাই এ সময়ে ভ্রমণে বাড়তি সতর্কতা নেয়া চাই।

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন। উন্নত ব্যবস্থাপনা ও পর্যটকদের সচেতনতা এই বনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com