আগামী তিন বছর হাঙ্গেরিতে পূর্ণ বৃত্তিসহ স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। তবে, এই তিন বছরের প্রতি বছরে ১৩০ জন শিক্ষার্থী এই সুযোগ পাবেন।
গতকাল বুধবার হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির মধ্যে ‘স্টেপেনডিয়াম হাঙ্গেরিকাম প্রোগ্রাম’ শীর্ষক একটি সমঝোতা চুক্তির ফলে এই সুযোগ তৈরি হয়েছে।
অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া এবং স্লোভাকিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। হাঙ্গেরির পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণায়ের কূটনীতিক একাডেমি ও স্টেপেনডিয়াম হাঙ্গেরিকাম বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি ড. ওরসোল্যা প্যাকসে-টমাসিচ এতে স্বাক্ষর করেন।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপপ্রধান রাহাত বিন জামান এবং বুদাপেস্টে বাংলাদেশ অনারারি কনসাল ড. গ্রেগ পাতাকি উপস্থিত ছিলেন।
নতুন সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের নিউক্লিয়ার এনার্জি বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ৩০টি বৃত্তি সংযোজিত হয়েছে।
২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী গত তিন বছর ধরে হাঙ্গেরি সরকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বার্ষিক একশটি বৃত্তি প্রদান করে আসছে।
বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর, যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, পানি ব্যবস্থাপনা ও কৃষিসহ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক ও ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ ঘোষণার ফলোআপ, বুদাপেস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের যৌথ উদযাপন নিয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া, দুই দেশের মধ্যে বহুপাক্ষিক বিষয়াবলীতে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সমর্থন এবং হাঙ্গেরির কূটনীতিক একাডেমিতে বাংলাদেশি তরুণ কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হয়।