1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে
রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন

বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে বসে যারা বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব নিতে চান, তারা আগে সরাসরি নিউইয়র্ক থেকে কনস্যুলেটে আবেদন জমা দিতে পারতেন। এখন আর সেটি সম্ভব নয়। এখন থেকে বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ অনলাইনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। কেউ চাইলে তার জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে অনলাইনে আবেদন করে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ পেতে পারেন।
অনেকেই সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, এতে ভোগান্তি ও ঝামেলা অনেকটাই কমবে। কিন্তু বয়স্ক ব্যক্তিরা কিছুটা ঝামেলায় পড়েছেন। কারণ তাদের অনেকেই এখনো অনলাইন সেবা সম্পর্কে সবকিছু জানেন না বা বোঝেন না। আবার অনেকের বাসায় ইন্টারনেট নেই। তাই তাকে অন্য কারও সাহায্য নিয়ে অথবা কোনো কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এতে করে তার ব্যক্তিগত সকল তথ্য অন্যের হাতে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে নাম, বাবার নাম, তার ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল অ্যাড্রেস, ব্যাংক হিসাব ও সম্পত্তির যাবতীয় হিসাব, সিটিজেনশিপের সার্টিফিকেট নম্বর, সেখানকার তারিখসহ গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্যই গোপন রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বয়স্ক ব্যক্তিরা বলছেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের আবেদন অনলাইনে করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে ভাবতে হবে।
আমেরিকা অত্যন্ত উন্নত দেশ। এখানে সব আবেদন অনলাইনের পাশাপাশি ইনপাসরন ও পিডিএফ ফর্ম পূরণ করেও করার সুযোগ রয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড পাওয়া ও নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যে সার্টিফিকেটের আবেদন, সেটিও অনলাইনের পাশাপাশি ফর্ম পূরণ করে করার সুযোগ রয়েছে। একজন ব্যক্তি তার আবেদন জমা দেওয়ার পর ডাকযোগে প্রাপ্ত আবেদনের সকল কপি ও আবেদন তারা স্ক্যান করে অনলাইনে নিয়ে যায়। বাংলাদেশ সরকারও চাইলে এ রকম করতে পারে। একজন মানুষ দুভাবেই আবেদন জমা দিতে পারবেন। তিনি যেকোনো একটি ফরম্যাট বেছে নেবেন। তিনি চাইলে সরাসরি অনলাইনে অথবা অনলাইন থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে সেটি ফিলআপ করে জমা দিতে পারবেন।
কেউ কেউ বলেছেন, সরকার অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের আবেদনের ব্যবস্থা করেছে, এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু যারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন না, তাদের জন্য ইনপারসন জমা দেওয়া ও ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের কপি পাঠানোর সুযোগ রাখা উচিত। কেউ চাইলে ফরম পূরণ করে ছবি ও প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ সবকিছু বাংলাদেশ সরকারের, বিশেষ করে কনস্যুলেটে বা দূতাবাসে যেন আবেদন জমা দিতে পারেন। তারা আবেদনটি স্ক্যান করে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবে। সেখানে কারও কোনো বিষয়ে যদি কোনো নথিপত্রের প্রয়োজন হয়, তাহলে সরকার চিঠি পাঠাতে পারে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে সেটি চাইতে পারে। আবেদনকারী আবেদন জমা দেওয়ার পর চাইলে অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সেখানেও নথিপত্র জমা দিতে পারেন।এদিকে ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ. এসএসডি. গভ/ বিডি সাইটে ক্লিক করে দ্বৈত নাগরিক সনদের আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
সেখানে নাম, বাবার নাম বা স্পাউসের নাম লিখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ঠিকানা ও বাংলাদেশের স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে। বর্তমান পেশার নাম দিতে হবে। এরপর সেটি প্রত্যয়ন করে কনস্যুল, ভাইস কনস্যুল, নোটারি পাবলিকের সামনে তারিখ দিয়ে স্বাক্ষর করতে হবে। এরপর নোটারি পাবলিক যার সামনে করছেন, তিনিও সাইন করবেন।
আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কিছু নথিপত্রও দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের সনদের ফটোকপি (আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারীদের জন্য), জন্মসনদের ফটোকপি এবং পিতা/মাতার বাংলাদেশের পাসপোর্ট, জন্মসনদের ফটাকপি, ইউএস পাসপোর্টের প্রথম দুই পৃষ্ঠার ফটোকপি, বাংলাদেশের পাসপোর্টের প্রথম সাত পৃষ্ঠার ফটোকপি (হাতে লেখা পাসপোর্টের ক্ষেত্রে), মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের ক্ষেত্রে এক পৃষ্ঠার (ফটো পেজ) ফটোকপি, চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (ছবির পেছনে উপরে নাম লিখতে হবে), ৭৭ ইউএস ডলারের মানি অর্ডার আগে থাকলে বর্তমানে ৯২.৪০ ডলার করা হয়েছে। সেই পরিমাণ মানি অর্ডার অথবা পোস্টাল অর্ডার অথবা ব্যাংক সার্টিফায়েড চেক। মানি অর্ডার অথবা পোস্টাল অর্ডার অথবা ব্যাংক সার্টিফায়েড চেকের প্রাপক বা বেনিফিশিয়ার হিসাবে কনস্যুলেট জেনারেল অব বাংলাদেশ নিউইয়র্ক লিখতে হবে। বিগত তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর রিসিটের ফটোকপি যদি থাকে, তাও দিতে হবে।অধিক তথ্যের জন্য ভিজিট করা যেতে পারে বিডিসিজিএনওয়াই.ওআরজি। আরও বলা হচ্ছে, সংযুক্ত কাগজপত্রসহ তিন সেট জমা দিতে হবে।
সূত্র জানায়, কারও বাবা-মায়ের জন্মসনদ, এনআইডি, পাসপোর্ট যদি বাংলাদেশে না থাকে, তাহলে তারা কীভাবে ফর্ম পূরণ করবেন, তা লেখা নেই। যারা বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছেন ও সিটিজেনশিপ নিয়েছেন, তাদের অনেকেরই বাবা-মায়ের প্রয়োজনীয় নথিপত্র নেই। আবার কেউ কেউ নথিপত্র নেওয়ার আগেই বাবা-মা মারা গেছেন। তারা পড়েছেন বিপাকে। কীভাবে তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ নিতে পারবেন, তা জানেন না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com