ভিসা প্রক্রিয়া সহজ এবং কম খরচে উন্নত চিকিৎসার আশায় ভারতমুখী হয়েছিলেন বাংলাদেশি রোগীরা। গেল কয়েক বছরে ভারত যাওয়ার হারও বেড়েছিল। আগের অর্থ বছরের তুলনায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ভারতের মেডিকেল ভিসা ইস্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর ভিসা ইস্যু কমিয়ে দেয় ভারত।
শেষ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিলে তলানিতে গিয়ে ঠেকে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক। পরে বাংলাদেশিদের ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয় দেশটি। এক পর্যায়ে টুরিস্ট ভিসা ছাড়া বাকি সব ক্যাটাগরিতে স্বল্প পরিসরে ভিসা দেয়া শুরু করে ভারত। তবে বাংলাদেশি রোগীদের স্বাভাবিক সংখ্যায় মেডিকেল ভিসা দেয়ার ব্যাপারে গরিমসি শুরু করছে মোদির দেশ।
মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন জমা দেয়ার শিডিউল নিতে স্লট সিস্টেম করে ভারতীয় দূতাবাস। কিন্তু সময় স্বল্পতা এবং নিয়মিত সার্ভারে কারিগরি ত্রুটি থাকায় দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও স্লট নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন আবেদনকারীরা। ফলে দৌরাত্ম বেড়েছে দালালদের। এক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজনেও ভিসা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন অসুস্থ ব্যক্তিরা।
ভিসার জন্য স্লট নেয়ার সমস্যা নিরসনে পদক্ষেপ নিয়েছে দূতাবাস। চ্যানেল 24 অনলাইনের পক্ষ থেকে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কর্মকর্তারা জানান, আবেদনকারী অনলাইনে স্লট নিতে ব্যর্থ হলে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আবেদনের কপি এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র ভারতীয় দূতাবাসের ১নং গেটে গিয়ে জমা করবেন। পরে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দূতাবাস ভিসা দেয়া জরুরি মনে করলে, আবেদনকারীকে কল করে চূড়ান্তভাবে আবেদন জমার তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।
দূতাবাসের দেয়া তারিখে যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারে মূল আবেদনপত্রসহ সব কাগজপত্র জমা করবেন আবেদনকারী। পরবর্তীতে সাধারণ প্রক্রিয়ায় ভিসা প্রেসেসিং করা হবে। এরপরও কোন সমস্যা হলে ভারতীয় দূতাবাসে কথা বলার মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ নেয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সরকারি তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ভারত ২০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছে, যার বেশিরভাগই চিকিৎসার কারণে। তবে গত আগস্টের পর থেকে ভারত দিনে এক হাজারেরও কম মেডিকেল ভিসা দিয়েছে। যদিও আগে এই সংখ্যা ছিল দৈনিক ৫-৭ সাত হাজার। মেডিকেল ভিসার হার ক্রমাগত কমতে থাকায় চীনের দিকে ঝুঁকছেন বাংলাদেশি রোগীরা।
চ্যানেল 24 অনলাইন