বর্ষাকালে হাওর ও বিলে কিন্তু শুধু জলরাশিই নয়, দেখার আছে অনেক কিছুই। বিশাল জলরাশিতে নৌকার ওপর বসে পূর্ণিমার চাঁদের আলো শরীরে মাখার অভিজ্ঞতা আপনাকে দেবে অতুলনীয় অনুভূতি। সেই অনুভূতি পেতে সময় করে ঘুরে আসতে পারেন টাঙ্গুয়ার হাওর অথবা চলনবিলে।
টাঙ্গুয়ার হাওর
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাসে সুনামগঞ্জ যেতে হবে। এসি ও নন-এসিভেদে বাসের ভাড়ায় পার্থক্য আছে। বাস থেকে নেমে যেতে হবে সাহেববাজার ঘাট। বর্ষাকালে এই ঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা স্পিডবোট দিয়ে সরাসরি টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়া যায়। এ ছাড়া ঢাকার ট্যুর অপারেটরগুলো টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ দিয়ে থাকে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাদের ব্যবস্থাপনায়ও ঢাকা থেকে সরাসরি টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়া যায়।
চলনবিল
নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে অবস্থিত চলনবিল। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এই তিন জেলার যেকোনো একটিতে আসতে হবে। এরপর তিন জেলা থেকেই চলনবিলের বিভিন্ন অংশ ঘুরে বেড়ানো যাবে। তবে চলনবিল জাদুঘর দেখতে হলে যেতে হবে নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে। ঢাকা থেকে চলনবিল ঘুরে আসতে প্রতিজনের ব্যয় হতে পারে ১ হাজার ৫০০ টাকা।