মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পৌঁছেছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের হবু পাইলটেরা। ফ্লোরিডার এপিক ফ্লাইট অ্যাকাডেমিতে তারা প্রথম দিনের ট্রেনিং শুরু করেছেন।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, প্রথম ধাপে ১০ জন এবং পরবর্তী ধাপে ১১ জন শিক্ষার্থী মিলে মোট ২১ জন ট্রেনিং নিবেন। ইতোমধ্যে ১০ জনের ট্রেনিং শুরু হয়েছে।
এর আগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পাইলট সংকটের কথা মাথায় রেখে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন পাইলট তৈরির কর্মসূচি হাতে নেয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
এ বিষয়ে ইউএস-বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, বাংলাদেশের অন্যতম বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পাইলট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। পাইলট সংকট থেকে উত্তরণের জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত পাইলটের চাহিদা পূরণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০২২ সালের শুরুতে স্টুডেন্ট পাইলট নিয়োগের পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হিউম্যান রিসোর্স বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিয়ে ২০২২ সালের মে থেকে জুলাই মাসে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ২১ জনকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়। প্রথম পর্বে ১০ জনের পর ধারাবাহিকভাবে আগামী জুন মাসে দ্বিতীয় পর্বে ১১ জন প্রশিক্ষণার্থী দেশ ত্যাগ করবেন। ফ্লাইট ট্রেনিং কোর্স শেষ করার পর ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (এফএএ সিপিএল) পাবেন প্রশিক্ষণার্থীরা।
সফলভাবে ফ্লাইট ট্রেনিং শেষ করে যারা ফিরবেন তারা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফটের ট্রেইনি ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। স্টুডেন্ট পাইলটের মতো এভিয়েশনে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দু’টি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে বর্তমানে ৮টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৮টি এটিআর ৭২-৬০০সহ মোট ১৯টি এয়ারক্রাফট আছে। চলতি বছর দুটি এয়ারবাস ৩৩০ এয়ারক্রাফটসহ আরও দুটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউএস-বাংলায় বর্তমানে ২ হাজার ৩৫০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। যার মধ্যে ১৯০ জনের বেশি দেশি-বিদেশি পাইলট রয়েছেন।