শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন

ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসা

  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
ফ্রান্সে বাংলাদেশিদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ নিয়ে দুটি আলাদা প্রক্রিয়া আছে। এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো:
১. ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa):
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য ফ্রান্সে যেতে চাইলে ফ্রেঞ্চ স্টুডেন্ট ভিসা নিতে হয়। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত এবং প্রক্রিয়া:
আবেদন প্রক্রিয়া:
1. ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: ফ্রান্সের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউট থেকে ভর্তি নিশ্চিতকরণ পত্র (admission letter) পেতে হবে। এটি ভিসার জন্য আবশ্যক।
2. ভিসা আবেদন: ভর্তি পত্র পাওয়ার পর ফ্রান্সের ভিসা আবেদন কেন্দ্র (ভিএফএস) এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
3. পূরণকৃত আবেদন ফর্ম: আবেদন ফর্মটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি:
• পাসপোর্ট (সর্বনিম্ন ৬ মাসের মেয়াদ)
• বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নিশ্চিতকরণ পত্র
• ব্যাংক স্টেটমেন্ট (ফ্রান্সে থাকা খরচ প্রমাণের জন্য)
• হেলথ ইনস্যুরেন্স
• ফ্লাইট বুকিং
• অন্যান্য শর্তসাপেক্ষ নথি (যেমন, ভাড়া কনফার্মেশন, টিউশন ফি প্রদানের প্রমাণ ইত্যাদি)
ভিসার মেয়াদ ও এক্সটেনশন:
• প্রথমবারে পাওয়া ভিসা সাধারণত এক বছরের জন্য হয়। ফ্রান্সে পৌঁছে সেটি নবায়ন করা যায়।
• স্টুডেন্ট ভিসা থাকাকালীন, সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার অনুমতি পাওয়া যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির সময় পুরো সপ্তাহ কাজ করা সম্ভব হয়।
২. স্থায়ীভাবে বসবাস (Permanent Residency – PR) ও নাগরিকত্ব:
ফ্রান্সে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বা ফ্রেঞ্চ নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কয়েকটি ধাপ রয়েছে। শিক্ষার্থী হিসেবে শুরু করলেও পরবর্তীতে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাওয়া সম্ভব।
স্থায়ী বসবাসের ধাপ:
1. টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট (Temporary Residency Permit):
• স্টুডেন্ট ভিসা শেষ হলে ও কোর্স শেষ করার পরে, আপনি যদি ফ্রান্সে কাজ পান বা অন্য কোনো কারনে থাকতে চান, তাহলে টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারেন।
2. পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক পারমিট:
• ডিগ্রি শেষে, এক থেকে দুই বছরের জন্য কাজের পারমিট (APS – Autorisation Provisoire de Séjour) এর জন্য আবেদন করা যায়।
• কাজের সুযোগ পেলে, এ সময়ের মধ্যে নিজের স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে ওয়ার্ক পারমিটে চলে যাওয়া সম্ভব।
3. স্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট (Permanent Residency – PR):
• ফ্রান্সে ৫ বছর বৈধভাবে থাকার পর, স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি (PR) পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
• বৈধ চাকরি ও নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণ করতে হবে, যেমন ফরাসি ভাষার কিছুটা দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে।
4. নাগরিকত্ব (Citizenship):
• ফ্রান্সে ৫-১০ বছর স্থায়ীভাবে বসবাসের পরে, নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যেতে পারে।
• নাগরিকত্ব পেতে হলে ফরাসি ভাষার উপর দক্ষতা এবং ফ্রেঞ্চ সমাজে নিজের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে।
নাগরিকত্ব পাওয়ার সুবিধা:
• ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশেও বসবাস ও কাজ করার অধিকার।
• ফ্রান্সের সামাজিক ও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা।
ফ্রান্সে স্থায়ীভাবে বসবাস বা নাগরিকত্বের জন্য ফ্রেঞ্চ আইন ও শর্তাবলী সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ফ্রান্সের দূতাবাসের ওয়েবসাইট এবং অভিবাসন বিভাগের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com