বইমেলা
বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি যারা জীবন দিয়েছিলেন তাদের স্বরনে দিনটি পালিত হয় অমর একুশে মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও পালিত হয় এবং সেই থেকে ফেব্রুয়ারি সারা মাস ব্যাপী বাংলাএকাডেমী প্রাঙ্গনে বই মেলার আয়োজন করা হয়। নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এই বইমেলায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় করে থাকেন। মেলা উপলক্ষ্যে প্রতি বছর প্রচুর বাংলা বই প্রকাশিত হয়ে থাকে। এটি এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ বই মেলা। বাংলা একাডেমি থেকে সোহরাওয়ার্দি উদ্যান পর্যন্ত যার বিস্তৃতি।
আপনর প্রিয়জনকে এখান থেকে অবশ্যই একটি বই উপহার দিতে পারেন।
মাঘি পূর্ণিমা
মাঘি পূর্ণিমা একটি জনপ্রিয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। বুদ্ধিষ্ট কমুউনিটি এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করে থাকে। তারা মনে করে সৃষ্টিকর্তা এই দিন তাদের কিভাবে ধর্ম চর্চা করবে তার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। বৌদ্ধবিহার সহ বৌদ্ধধর্মালম্বী জনগোষ্ঠি নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দিনটি পালন করে থাকে।
বসন্ত উৎসব
শীতের শেষে বসন্তকে স্বাগত জানায় বাঙ্গালি জাতি। তাইতো ঘরে ঘরে পালিত হয় বসন্ত উৎসব।১লা ফাল্গুন বসন্তের ১ম দিন পালিত হয় বসন্ত উৎসব। বকুলতলায় শিল্পীদের ঐতিহ্যমন্ডিত নাচ ও গান দিয়ে শুরু হয়। ছায়ানট এবং শিশু একাডেমী দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। লাল আর হলুদের সংমিশ্রনে সারা দেশে বসন্ত উৎসব পালিত হয়। মেয়েরা হলুদ শাড়ী এবং হলুদ গাদা ফুলের মালা পরে ঘুরে বেড়ায় এবং মুখে নানা রকম রং লাগায়। সব রকমের মানুষ নেচে গেয়ে দিবসটি উদযাপন করে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সোহরাওয়ার্দি উদ্যান কপোতকপোতীর মিলন মেলায় পরিণত হয়।
ভেলেনটাইন ডে
ভালবাসা দিবসটি বসন্ত উৎসবের পরের দিন হওয়ায় যুবক-যুবতিরদল বেধে বিভিন্ন রঙিন কাপড় পরে প্রিয়জনকে নিয়ে কাছে বা দূরে ঘুরতে বের হয়। দিনটি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে খুবই প্রিয়।বিভিন্ন রকম কনসার্ট, ফেষ্টিভাল, ইভেন্ট আয়োজন থাকে। বিভিন্ন হোটেল এবং রিসোর্টে। কপোতকপোতীরা যুগল বেধে দিনটি উদযাপন করে এবং বিভিন্ন জায়গায় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায়।তাই কাছে কিংবা দূরে প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কথা ভুলবেন না।