ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বেশি পরিচিত। যার জন্য প্রতারকরা ফেসবুকেই সবচেয়ে বেশি প্রতারণার জাল বিছিয়ে রাখে। আর জালিয়াতকারীরা এমনভাবে তথ্য চুরি করে হুবহু একই রকম অ্যাকাউন্ট তৈরি করে যে, ব্যবহারকারীরা তা জানতেই পারে না। যা ‘ফেসবুক আইডি ক্লোন’ নামে পরিচিত।
এভাবে সাধারণত বড় বড় অভিনেতা-অভিনেত্রী ও শিল্পীদের প্রোফাইল ক্লোন করে জালিয়াতকারীরা অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ করে থাকে। বর্তমানে সাধারণ মানুষও রক্ষা পাচ্ছেন না অভিনব এই জালিয়াতির খপ্পর থেকে।
সাইবার বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রতারকদের কাছে জালিয়াতির এক নতুন উপায় হলো এই ফেসবুক ক্লোন। এরা মূলত যারা নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তাদের শিকার বানায়। হুবহু একই রকম অন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে তার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা হয়। ক্লোন করা এই ফেসবুক আইডি থেকে ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ পাঠানো হয় ভুক্তভোগীর চেনা পরিচিতদের কাছে। আর তা ‘অ্যাকসেপ্ট’ করলেই শুরু হয়ে যায় জালিয়াতি। ব্যক্তিগত তথ্য, অর্থ, ই-মেইল এমনকি অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের পাসওয়ার্ডও চুরি করতে পারে অপরাধীরা। তারপর জালিয়াতি শুরু হয় পরিচিতদের সঙ্গে।
এ ধরনের ফাঁদ এড়াতে ভীত না হয়ে প্রথমেই বিষয়টি পরিচিতদের জানাতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আত্মীয়, বন্ধুদের সতর্ক করতে হবে যেন তারা এমন কোনো ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ অ্যাকসেপ্ট না করে।
নিজের আসল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পোস্ট করতে পারেন। পোস্টটি সবার নজরে আনতে মন্তব্যের বক্সে ‘অ্যাট হাইলাইট’ বা ‘অ্যাট ফলোয়ার’ লিখতে পারেন। এছাড়াও ক্লোন অ্যাকাউন্টটি দেখলেই রিপোর্ট করার জন্য পরিচিতদের বলতে পারেন।
ভুয়া অ্যাকাউন্টে রিপোর্ট করবেন যেভাবে:
প্রথমে ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে গিয়ে সেই ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুঁজে ফেসবুক পেজে যেতে হবে। সেখানে প্রোফাইলের ৩টি ‘ডট’ চিহ্নে ক্লিক করলেই ‘রিপোর্ট প্রোফাইল’ অপশন আসবে।
তারপর কেন ওই প্রোফাইল আপনি রিপোর্ট করতে চান সে বিষয়ে ফেসবুক কারণের তালিকা দিয়ে জানতে চাইবে। এরপর সঠিক কারণে ক্লিক করলেই সম্পন্ন হবে ক্লোন অ্যাকাউন্টের রিপোর্ট করার প্রক্রিয়া।