করোনা মহামারির ধাক্কায় বিদায়ী বছরে বিপর্যস্ত ছিলো চীনের অর্থনীতি। কঠোর লকডাউনের বিধি-নিষেধ শিথিল করার পর অর্থনীতির গতি ফিরতে শুরু করেছে। দেশটির পর্যটন খাত যার প্রমাণ।
মহামারির ধাক্কা সামলে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে চীনের পর্যটন খাত। নববর্ষের ছুটিতে দেশটির অভ্যন্তরে ভ্রমণের ফলে আয় ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮০ কোটি ডলারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পর্যটন খাত আগের অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে আরও ৬ মাস।
নববর্ষের তিনদিনের ছুটিতে চীনের অভ্যন্তরে ভ্রমণ করেছেন প্রায় ৫ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। মহামারির আগের সময়ের চেয়ে এ সংখ্যা কম হলেও গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা বেড়েছে ০.৪৪ শতাংশ। এতে করে পর্যটন খাত থেকে দেশটির আয় ৪ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে ৩৮০ কোটি ডলারে। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন টানা ৩ বছর ঘরে থাকার কারণে ঘুরতে বের হবার প্রবণতা বেড়েছে চীনা নাগরিকদের মধ্যে। তবে দেশের বাইরের পর্যটকদের ঘুরতে আসার হার বাড়তে অপেক্ষা করতে হবে বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত।
ট্রিপ ডটকমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং জিয়াংঝাং বলেন, ‘আমি মনে করি অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ আগে সেরে উঠবে। তবে সম্ভবত বছরের শেষার্ধে সামগ্রিক ভ্রমণের হার পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হবে।’
লকডাউন তুলে নেয়ার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একের পর এক বিধি-নিষেধের শিকার হচ্ছেন চীনা নাগরিকরা। চীনের প্রতি বর্হিবিশ্বের এমন বিরূপ আচরণকে ভূ-রাজনীতির নোংরা খেলা হিসেবে দেখছেন অনেক বিশ্লেষক।
এশিয়ান ভিশন ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট চেয়াং ভানারিথ বলেন, ‘ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ কিংবা করোনার নতুন ধরনের মতো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে আমাদের সময় অপচয় করা ঠিক নয়। বর্তমান যুগে আমরা একে অন্যের ওপর বিভিন্নভাবে নির্ভরশীল। তাই পর্যটন খাত পুনরুদ্ধারে আগের চেয়েও বেশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’
বিদায়ী বছরে চীনের পর্যটন খাত আয় করেছে প্রায় ৮২ হাজার কোটি ডলার যা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০৩০ সালের মধ্যে নিজেদের প্রথম অবস্থানে নেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে চীনা সরকার।