লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ দেবে স্কলারশিপ। পিএইচডি গবেষকেরা পাবেন এ স্কলারশিপ। এর নাম ‘প্রেসিডেন্টস পিএইচডি স্কলারশিপ’। ৫০ জন পাবেন এ স্কলারশিপ। যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বব্যাপী স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় ৪ নভেম্বর।
সুযোগ-সুবিধা
স্কলারশিপ প্রাপ্ত ৫০ জন শিক্ষার্থীরা সাড়ে তিন বছরে নানা সুবিধা পাবেন।
* টিউশন ফির জন্য সম্পূর্ণ তহবিল। ফলে শিক্ষার্থীকে কোনো টিউশন ফি দিতে হবে না।
* জীবনযাত্রার খরচে সহায়তা করার জন্য প্রতিবছর ২৫,১৫০ পাউন্ড হারে উপবৃত্তি রয়েছে।
* অধ্যয়নের প্রথম ৩ বছরের জন্য বার্ষিক ২,০০০ পাউন্ড হারে একটি ভোগ্য তহবিল দেওয়া হবে।
* গ্র্যাজুয়েট স্কুলের ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে।
* এ ছাড়া ইমপেরিয়ালে স্নাতকোত্তরদের জন্য থাকা সেবাসমূহে সম্পূর্ণ পরিসরে অ্যাকসেস রয়েছে। পাশাপাশি পেশাদার দক্ষতা কোর্সের সুযোগও থাকবে।
আবেদনের যোগ্যতা
* প্রার্থীদের অবশ্যই স্নাতকোত্তরে ডিস্টিংশন থাকতে হবে।
* এই স্কলারশিপের আওতায় এমন প্রার্থীরাও সুযোগ পাবেন, যাঁরা স্নাতকোত্তর স্তরে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন করেছেন, কিন্তু প্রথম
শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেননি, তাঁরা এই স্কিমে আবেদন করতে পারবেন।
* যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিভাবান প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হবে। জাতীয়তার ওপর কোনো বিধিনিষেধ
নেই, যদিও কিছু বিভাগ আন্তর্জাতিক প্রার্থীদের ভর্তি করবে না।
* এই স্কলারশিপের আওতায় শুধু নতুন পিএইচডি আবেদনকারীরা পড়তে পারবেন। বর্তমানে ইমপেরিয়াল কলেজের
পিএইচডি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য বিবেচিত নন।
আবেদন যেভাবে
এই স্কলারশিপের জন্য আলাদা করে আবেদন ফরম নেই। অনলাইন ভর্তি পদ্ধতির মাধ্যমে ইমপেরিয়াল কলেজে অধ্যয়নের জন্য ভর্তির আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। এরপর ভর্তি করা বিভাগ আপনাকে একাডেমিক যোগ্যতা এবং সম্ভাবনার ভিত্তিতে বৃত্তির জন্য প্রসেসিং করবে। ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য বৃত্তিনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ মানতে হবে।
কলেজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এ ছাড়া আপনাকে অবশ্যই পছন্দের বিভাগ দ্বারা বর্ণিত অতিরিক্ত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।