৪০ ডিগ্রিতে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। আর ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পাহাড়ি গ্রামগুলো। যেহেতু গরমের ছুটি দোরগোড়ায়, বন্দে ভারতের টিকিট কেটে বেড়িয়ে পড়তে পারেন শান্তির খোঁজে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি গ্রামগুলোয়। কিন্তু কোথায় যাবেন, কী সব সামলে উঠবেন বুঝতে পারছেন না? আপনার জন্য রইল একটি পাহাড়ি গ্রামের খোঁজ। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ের যে সব পাহাড়ি গ্রামগুলো ধীরে ধীরে পর্যটনমহলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, তারই মধ্যে রয়েছে রামধুরা। কালিম্পংয়ের বারমিয়াক ডিভিশনের ছোট্ট, শান্ত ও নিরিবিলি গ্রাম। গরমের ছুটি কাটাতে যেতে পারেন এই পাহাড়ি গ্রামে।
মেঘেদের দেশের এক টুকরো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চলে আসুন রামধুরায়। ৫৮০০ ফুট উচ্চতায় নিশ্চুপে ঘুমিয়ে গোটা গ্রাম। রামধুরায় প্রকৃতির সঙ্গে বাস করে দেবতাও। ভগবান রামের নামে গ্রাম। আর ‘ধুরা’ মানে গ্রাম। এখানের শিবের শ্বেতশুভ্র মন্দিরে জল ঢালার জন্য জল আনতে যেতে হয় তিস্তায়। যদিও এই শিব মন্দিরে যেতে রামধুরা থেকে একটু ছোট্ট ট্রেক করে নিতে হয়। পাহাড়ি পথ ভেঙে উঠতে হয় উপরে।
রামধুরায় পৌঁছে আপনি প্রতি মুহূর্ত উপভোগ করতে পারবেন। হিমালয়ের কোলে দাঁড়িয়ে থাকা পাইন গাছের সারি এই গ্রামে গিয়ে বাঁচার আনন্দ বাড়িয়ে তোলে। গ্রামের কোলে বসে চোখ রাখা যায় বিস্তৃত হিমালয়ে। আর নিচের দিকে তাকালে দেখা যায় তিস্তার অবিরাম বয়ে যায়। এমন ৩৬০ ডিগ্রি কালিম্পংয়ের গ্রাম থেকে খুব কম পাওয়া যায়। যদিও রামধুরায় সিঙ্কোনা চাষের ক্ষেত রয়েছে। রয়েছে আমলকী, হরীতকী, চিরতার জঙ্গল। সেই জঙ্গলে ডাক শোনা যায় হিমালয়ের বহু পাখির। সেই জঙ্গলে বন্যপ্রাণীরও দেখা মেলে।