বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন

ফিলিপাইন ট্যুরিস্ট ভিসা

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
প্রথমেই আপনাদেরকে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে, ফিলিপিন এম্বাসিতে ইমেইল করতে হবে এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য। যে বিষয়গুলো অবশ্যই লিখবেন: আপনার নাম,এবং ফ্যামিলির কাউকে যদি নিয়ে যেতে চান তাদের নাম, পাসপোর্ট নাম্বার এবং পারপাস ও ভিজিট হিসেবে লিখবেন: ট্যুরিজম এবং কোন তারিখে যেতে চান সেটা লিখবেন এবং কতদিন থাকতে চান সেটা লিখবেন, লিখে আপনার পাসপোর্ট এবং ফ্যামিলির সবার পাসপোর্ট এর স্ক্যান করা কপি সংযুক্ত করে ইমেইল পাঠাবেন এই ঠিকানায়:
আসা করা যায়, পরবর্তী কার্যদিবসেই আপনি ফিরতি ইমেইল পেয়ে যাবেন এম্ব্যাসি থেকে।
এম্ব্যাসি থেকে আপনাকে যেই মেইলটি পাঠাবে সেখানেই বিস্তারিত দেয়া থাকবে আপনার কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে তারপরও আপনাদের অগ্রিম প্রস্তুতির জন্য আমি এখানে উল্লেখ করে দিচ্ছি:
প্রথম ধাপ:
এপ্লিকেশন ফর্ম, যেখানে আপনার ২ X ২ ইঞ্চি ২ কপি ছবি সংযুক্ত করবেন এবং ফরম ফিলাপ করে সাইন করে নিবেন। লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন:
ইমেইলে পাওয়া google ফর্মের লিংকে যাবেন, সেখানে গিয়ে আপনার ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি আপলোড করবেন এবং অন্যান্য তথ্য পূরণ করে সাবমিট করে দিবেন। তারপর এমব্যাসি থেকে আপনাকে একটি এপয়েন্টমেন্ট ডেট তারা ইমেইল করে জানাবে। উল্লেখ্য আপনি গুগল ফরম ফিলাপ করার সময় যে ইমেইলটি দিবেন সেই ইমেইলেই এম্বাসি থেকে এপয়েন্টমেন্ট ডেট টি পাঠাবে। উল্ল্যেখ্য, আমাকে আগের দিন রাতে ইমেইল করে পরের দিন সকালে যেতে বলেছিল। তাই আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভাল।
দ্বিতীয় ধাপ:
এই সিরিয়াল অনুযায়ী আপনার পেপারগুলো সাজাবেন:
আপনার পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্মের হার্ড কপি, এখানে দুই কপি ২ X ২ ইঞ্চি ছবি সংযুক্ত করবেন।
কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি।
কি উদ্দেশ্যে ট্রাভেল করতে চান সেটি উল্ল্যেখ করে একটি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন লেটার। এখানে বিস্তারিত লিখবেন, আপনি কি করেন, কিভাবে টাকা ম্যানেজ করবেন এবং কতদিন থাকবেন ইত্যাদি।
আপনার ফিন্যান্সিয়াল সক্ষমতা প্রমাণ এর জন্য কাগজপত্র (এখানে দিতে পারেন আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট, যেখানে আপনার ব্যালেন্স উল্লেখ থাকবে, এছাড়া দিতে পারেন আপনার অ্যাসেট অথবা ওনারশিপ যেমন যদি গাড়ি অথবা বাড়ি ইত্যাদি যদি থাকে সেগুলোর কাগজপত্র, ট্যাক্স রিটার্নের কপি ইত্যাদি দিতে পারেন।) স্টেটম্যান্ট এবং সলভেন্সি অবশ্যই দিবেন, বাকি গুলো থাকলে দিবেন, না থাকলে দেয়ার প্রয়োজন নেই। জনপ্রতি কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা ব্যালেন্স রাখবেন।
ট্রাভেল আইটিনারারি (এখানে যে কয়দিন থাকতে চান সে কয়দিনের হিসাব অনুযায়ী শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট স্থানের ভ্রমণ পরিকল্পনা শেয়ার করাই উত্তম না হয় বিমানে যেতে হয় এমন জায়গার তথ্য দিলে অতিরিক্ত ডোমেস্টিক বিমান টিকেট বুকিং দেখাতে হতে পারে।)
হোটেল বুকিং। (এখানে আপনি booking.com থেকে ক্যান্সেল করা যায় এমন যেকোনো একটি হোটেল বুকিং দিয়ে নিতে পারেন যেটি ভিসা পাওয়ার পর ক্যান্সেল করে দিতে পারেন। আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী পরবর্তীতে হোটেল বুকিং করে নিতে পারেন। যতদিনের ট্রাভেল প্ল্যান দিয়েছেন, ততদিনের পুরো সময়ের হোটেল বুকিং দেখাবেন।)
ফ্লাইট বুকিং। (যেদিন ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করতে যাবেন তার আগের দিন অন্তত 24 ঘন্টা লাইভ থাকে এমন একটি ফ্লাইট বুকিং করে নিতে পারেন। বুকিং কপি হলেই চলবে। কনফার্ম টিকেটের প্রয়োজন নেই।এক্ষেত্রে আপনি কোন ট্রাভেল এজেন্সির হেল্প নিতে পারেন অথবা আপনার কোন বন্ধু-বান্ধবের হেল্প নিতে পারেন। এছাড়া অনলাইনে আপনি কিছু ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে আপনি ২৪ ঘন্টার জন্য টিকেট বুকিং কপি কিনতে পারেন, যেমন: onwardticket.com ) যতদিনের ট্রাভেল প্ল্যান দিয়েছেন, ততদিনের হিসাব অনুযায়ী পুরো সময়ের ফ্লাইট বুকিং দেখাবেন।
এছাড়া আপনার অন্যান্য কাগজপত্র সংযুক্ত করবেন যেমন ব্যবসায়ী হলে টিন সার্টিফিকেট এবং ট্রেড লাইসেন্স, চাকরিজীবী হলে এনওসি, ভিজিটিং কার্ড, আর স্টুডেন্ট হলে এনআইডি কার্ড এবং আপনার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড আর যদি আপনার ওয়াইফের জন্য আপনি অ্যাপ্লিকেশন করেন এবং ওয়াইফ যদি হাউস-ওয়াইফ হয় সে ক্ষেত্রে আপনার ডকুমেন্টগুলোই ফটোকপি করে ওয়াইফের অ্যাপ্লিকেশনের সাথে দিলেই হবে অন্যান্য কাজের প্রমাণের প্রয়োজন নেই।
(আবশ্যক নয় নয় এমন কাগজপত্র):
ইনভাইটেশন লেটার এবং ইনভাইটেশন আইডি (শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কনফারেন্স, মিটিং, ট্রেনিং, এবং যারা সেমিনারে যাচ্ছেন তাদের জন্য)
ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন এর কাগজপত্র আপনার অথবা আপনার স্পন্সরের (শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কনফারেন্স, মিটিং, ট্রেনিং, এবং যারা সেমিনারে যাচ্ছেন তাদের জন্য)
কিছু ক্ষেত্রে এমব্যাসি প্রয়োজন মনে করলে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ও চাইতে পারে।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন এর ইমেইল পেয়ে গেলে উপরের কাগজগুলো সুন্দরভাবে সিরিয়াল অনুযায়ী সাজিয়ে আপনি আপনার এবং আপনার ফ্যামিলির যাদের জন্য আবেদন করছেন তাদের পক্ষে আপনি একাই আপনার এপ্লিকেশনগুলো সাবমিট করতে পারবেন, তবে সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন সবাই যেন ফর্ম গুলো নিজে নিজে স্বাক্ষর করে থাকে। বর্তমানে ভিসা ফি নিচ্ছে পাঁচ হাজার বাংলাদেশী টাকা এবং ভিসা আপনাকে সাবমিট করতে হবে ফিলিপিন এমব্যাসি বারিধারা রোড নম্বর ১৪, বাসা নং ১০ এ গিয়ে।
পাসপোর্ট সাবমিট করা হয়ে গেলে আশা করা যায় এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনারা কল পেয়ে যাবেন আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন আপনি যেই তারিখ পর্যন্ত ভিসা পেয়েছেন ওই তারিখ পর্যন্তই আপনি ফিলিপিনে ঢুকতে পারবেন এবং ঢোকার পরে থেকে আপনি ৩০ দিন, সিঙ্গেল এন্ট্রি মেয়াদ পাবেন ফিলিপিন ঘোরার জন্য। এক্ষেত্রে আপনার ভিসার মেয়াদের শেষ দিনও আপনি ফিলিপিনে ঢুকতে পারবেন।
আর কোন প্রশ্ন থাকলে এই পোষ্টের কমেন্ট সেকশনে করতে পারেন। সময় করে উত্তর দেয়ার চেস্টা করবো। ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com