টানা সাত বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় রয়েছে ফিনল্যান্ডের নাম। কিন্তু তুষারে ঢাকা হিমশীতল একটি দেশ কীভাবে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হতে পারে! আসুন জেনে নেওয়া যাক সেটিরই উত্তর।
প্রকৃতি
ফিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে পুরো বিশ্ব অবগত। ইউরোপের এই দেশটি তার বন, হ্রদ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক নিদর্শন সংরক্ষণে বেশ মনোযোগী। প্রকৃতির সঙ্গে এখানকার মানুষেরও রয়েছে গভীর সম্পর্ক। তারা দিব্যি এই বৈরী আবহাওয়ার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। মানসিক চাপ কমাতেও তারা প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে ভালোবাসে।
সমাজ ব্যবস্থা
ফিনল্যান্ডের সরকার নাগরিকদের অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় সবসময় তৎপর। সেখানে এমন একটি কম্প্রেহেনসিভ বা সমন্বিত সমাজ কল্যাণ ব্যবস্থা রয়েছে, যা পৃথিবীর মধ্যে সেরা স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং চাকরির সুবিধা প্রদান করে। ফলে দেশটির নাগরিকদের মধ্যে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতার কোনো আশঙ্কা কাজ করে না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
ফিনল্যান্ডবাসী নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চেষ্টা করে। দেশটিতে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যকার বৈষম্য নেই বললেই চলে।
ব্যক্তিজীবন এবং কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য
ফিনিশীয়দের সুখী থাকার পেছনে এটি অন্যতম প্রধান কারণ। সেখানকার কর্মক্ষেত্রে এমন পরিবেশ রয়েছে যে কর্মীরা কাজ এবং জীবনের মধ্যে ভালোভাবে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। ফিনল্যান্ডে কর্মঘণ্টাও তুলনামূলক কম; অন্যদিকে ছুটি, ফ্লেক্সিবল আওয়ার এবং পরিবারের জন্য তাঁরা বেশি সময় পেয়ে থাকেন।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা
ফিনল্যান্ডে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা উত্তরোত্তর বাড়ছে। যারা মানসিক সমস্যায় ভুগছে, তাদের সহায়তার জন্য দেশটি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন নীতি প্রণয়ন করে থাকে।
অপরাধের হার
ফিনল্যান্ড অপরাধের হার অনেক কম। নারীরা এখানে বেশ নিরাপদ বোধ করেন।
লৈঙ্গিক সমতা
লিঙ্গ সমতা অর্জনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে ফিনল্যান্ড। কর্মক্ষেত্র এবং শীর্ষস্থানীয় পদগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে এই দেশ।
বিশ্বাস
ফিনিশ লোকজনের তাদের দেশের সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। একটি দেশের সুখী হবার পেছনে এটি অনেক বড় প্রভাব রাখে।
দুর্নীতির হার
ফিনল্যান্ড বিশ্বের সর্বনিম্ন দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের একটি। যে দেশে দুর্নীতি কম, সেখানকার লোকজন তো সুখী হবেই!
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া